নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
২০২১ সালে এপর্যন্ত সবথেকে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে ভারতীয় শিল্পদ্যোগী গৌতম আদানির। মোট সম্পদের পরিমাণে পিছনে ফেলে দিয়েছেন জেফ বেজোস এবং এলন মাস্ককেও।
বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা ধরে রাখতে বিগত বছরে ক্রমান্বয়ে টানাপোড়েন চলেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং টেলসার কর্ণধার এলন মাস্কের মধ্যে; কিন্তু সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির হারে ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানিকে ছুঁতে পারেননি দু’জনের কেউই।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২১ সালে একলাফে বেড়ে হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর সম্পদের এই দ্রুত বৃদ্ধির ধারেকাছে দাঁড়াতে পারেননি জেফ বেজোস বা এলন মাস্ক কেউই। মাস্কের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ এক বছরে ১০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বেজোসের সম্পদ কমেছে ৭.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ রিপোর্ট অনুযায়ী আদানি গ্রুপের একটি সংস্থা ছাড়া বাকি প্রতিটি সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছে হুহু করে।
আরও পড়ুনঃ গণতন্ত্রের মাপকাঠিতে বাংলাদেশ নেপালের চেয়েও খারাপ অবস্থা ভারতের, সমীক্ষা রিপোর্ট
আশ্চর্যের বিষয় হলো সারা বিশ্ব যখন কোভিড১৯ অতিমারীতে বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত ঠিক সেই সময়ে গৌতম আদানির সম্পদের বৃদ্ধি হয়েছে সবথেকে বেশি। আর এই বৃদ্ধি তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ২৬ নম্বরে। প্রথম প্রজন্মের এই শিল্পপতি গৌতম আদানির আদানি গ্রুপ, এই সময়ের মধ্যে তাদের ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আদানি গ্রুপ পা রেখেছে এয়ারপোর্ট এর ব্যবসায় এবং গড়ে তুলেছে বেশ কয়েকটি ডেটা সেন্টার।
আরও পড়ুনঃ অডিও ক্যাসেটের জন্মদাতা ল্যু ওটেনসের জীবনাবসান
অতি সম্প্রতি আদানি পোর্ট এবং স্পেশ্যাল ইকোনোমিক জোনে পা রাখলো আদানি গ্রুপ। তারপরেই, ওয়ার্বার্গ পিনকাস এর অধীনস্থ উইন্ডি লেকসাইড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ঘোষণা করেছে যে তারা ৮০০ কোটি টাকা এখানে বিনিয়োগ করবে। কোভিড১৯ অতিমারীর সময়ে আদানি গ্রুপের লাভের পরিমাণ বেড়েছে অন্তত চারগুন। পাশাপাশি, আদানি পোর্ট এবং স্পেশ্যাল ইকোনোমিক জোনের শেয়ার মূল্য বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584