নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েবডেস্কঃ
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ‘জাত’ মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই সমাজে এখনও মানুষের আগে ‘জাত’ স্থান পায়। জাতের জন্য নিজের মেয়েকে খুন করতেও হাত কাঁপে না বাবার। এমনই এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের রামাগানাগ্র জেলা। সেখানেই বাস করতো বছর ১৯ এর তরুণী হেমলতা।
জীবনে একটাই বড় অপরাধ করেছিল সে। ভিন্ন জাতের এক তরুণকে ভালোবেসেছিল, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল তরুণীর। আর তার জেরেই বাবা ও তুতো ভাইদের হাতে খুন হতে হল হেমলতাকে। ভাইদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। বেঙ্গালুরু থেকে ৫০ কিমি দূরে এই অনার কিলিংয়ের ঘটনায় শিউরে উঠেছে পুলিশ। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রথমে ১৯ বছরের ওই তরুণীর নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছিল থানায়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পরিবারের সম্মান রক্ষায় তরুণীকে খুন করেছে তাঁর বাবা ও ভাইরা।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ করে খুন’ ঝাড়খণ্ডের দুমকায়
পুলিশ সূত্রে খবর, হেমলতা নামে ওই তরুণীর সঙ্গে তফসিলি জাতির এক তরুণের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই তরুণী উচ্চবর্ণের ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের। তাঁর প্রেমিক পুনিত বেট্টাডাহাল্লি গ্রামের বাসিন্দা। গত ৯ অক্টোবর ওই তরুণীর নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর বাবা কৃষ্ণাপ্পা। সেইদিনই তাঁদের চাষের জমিতে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তরুণীর দেহ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ আদালতের
হেমলতার পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করে, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুনিত এবং তাঁর বন্ধুবান্ধবদের দিকে অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাবা ও তুতো দুই ভাই মিলে পরিকল্পনা মাফিক নিখোঁজ ডায়েরি করার আগেরদিনই তরুণীকে খুন করে চাষের জমিতে দেহ পুঁতে দেয়। নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে মেয়ের ডায়েরি করতে আসে হেমলতার বাবা। তখনই সন্দেহ গাঢ় হয় পুলিশের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584