নিজস্ব সংবাদদাতা,আরামবাগঃ
একুশে জুলাই ভোররাতে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।২১ শে জুলাইয়ে যেখানে কলকাতায় ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রির ডাকে গ্রাম গঞ্জ থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা যাচ্ছেন সেখানে স্থানীয়এক তৃণমূল নেতাকে ব্যাপক মারধর করে হাত ও পা বেঁধে ফেলে রেখে দিল দুষ্কৃতীরা। ধর্মতলা শহীদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য কর্মীদের ডাকতে এদিন ভোর তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সকালে তাঁকে দেখতে পেয়ে আক্রান্ত ও আহত তৃণমূল নেতাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা।আর এই ঘটনার অভিযোগের তির গিয়েছে নির্দলের কর্মী ও সমর্থকদের দিকে। ঘটনা গোঘাটের দহিয়াকান্দা গ্রামের। আক্রান্ত ঐ তৃণমূলের নেতার নাম সেখ রফিকুল ইসলাম।তার আঘাত গুরুতর।অভিযোগ যে, এলাকার তৃণমুলেরই একটি গোষ্ঠীর মদতে নির্দলের লোকজন তাকে সন্ধ্যা বেলায় তুলে নিয়ে চলে যায়।রাস্তায় তার মোটর বাইকটি পড়ে থাকে।
তাকে তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেঁধে মারে। পরে মুখে তৃণমূলেরই পতাকা গুঁজে ঐঅবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় আক্রমন কারীরা। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার অভিযোগ যে তিনি এই সব নির্দলের লোকজনের দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই এই আক্রমন করল। এ বিষয়ে গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত নেতার বাবা আব্দুস শুকুর বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলে রফিকুল দুর্নীতির প্রতিবাদ করত। আজ ভোর তিনটে নাগাদ আমার ছেলে ধর্মতলা যাওয়ার জন্য যখন সকলকে ডাকতে যায় তখন লালটু ও বকুলের নেতৃত্বে তাকে বেধড়ক মারধর ও তার হাত বেঁধে মুখে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ গুঁজে দিয়ে জোকার খালে ফেলে দেওয়া হয়। আমরা সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোঘাট হাসপাতালে এবং পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি। গোঘাটের তৃনমূল অঞ্চল সভাপতি জয়দেব রায় বলেন, ভোররাতে রফিকুল ধর্মতলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকতে বেরিয়েছিল কর্মীদের তখন যারা পছন্দ করে না তাদের মধ্যেই একটা গন্ডগোল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পরে আমরা সকলে তাকে হাত পা বাধা অবস্থায় পায়। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584