শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
প্রায় মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে দেশের অন্যান্য জায়গার মতই এ রাজ্যেও বন্ধ মদের দোকান। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কয়েকবার আশার আলো জ্বলে উঠলেও তা নিভে যেতে বেশি দেরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া ২২ টি দোকানের নাম এবং একটি বর্ধিত মূল্যের রেট চার্ট আচমকাই আশা বাড়িয়ে দিয়েছে সুরাপ্রেমীদের। কারণ দোকানের তালিকার ওপর সোমবার ৪ মে এবং রেট চার্টের ওপর ৯ মে-র তারিখ উল্লেখ রয়েছে।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে দোকান খুলবে। তারপরে আচমকাই কেন্দ্রের বিশেষ নির্দেশনামায় রাজ্যের কিছু জোনভিত্তিক পরিবর্তন হয়। অনেক অরেঞ্জ জোন পালটে রেড জোন হয়ে যায়, আবার গ্রিন জোন পালটে অরেঞ্জ জোন হয়ে যায়। এই অবস্থায় রাজ্য কেন্দ্রের হিসেব মানবে না কি নিজের, সেই প্রশ্নেও দ্বন্দ্বে ভুগছেন রাজ্যবাসী।
এদিকে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে কপাল পুড়েছে সুরাপ্রেমীদের। দোকান, শপিং মল তো বটেই, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে তালা ঝুলেছে বাংলার তাবৎ পানশালা ও নাইটক্লাবগুলিতেও। প্রতিদিন যাদের কম করে এক দু পেগ না হলে চলে না তাদের জীবন মরুভূমিসম হয়ে গেছে। লকডাউন কবে উঠবে, তার থেকেও তাদের কাছে বড় প্রশ্ন রাজ্যে মদের দোকান খুলবে কি না?
এদিকে মদের দোকানে অকস্মাৎ ঝাঁপ পড়ার ফলে যথারীতি পানীয় নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত সস্তার ব্র্যান্ডের ৩৭৫ মিলির বোতলের দাম মেরেকেটে ১৩০ টাকা, লকডাউনকালে চাহিদার ঢেউয়ে চেপে তা-ই কালোবাজারে বিকোচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধিতে ইদানীং সেই উপায় অবলম্বন করেও নেশার খোরাক জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সুরারসিকরা। আবার ফেসবুকে দেওয়া ভুয়ো নাম্বারে ফোন করে অনেকে প্রতারিতও হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে এই নতুন তালিকা এবং রেট চার্ট সামনে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন সুরাপ্রেমীরা। ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকায় ২২ টি দোকানের নাম রয়েছে, যেগুলি সবই আসল। আর যে পরিবর্তিত রেট চার্ট মিলেছে, তাতে বর্তমান দামগুলিও সঠিক। যে রাজ্যে মদ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয়, সেখানে রাজ্য প্রশাসন মদ নিয়ে এতটা কঠোরতা দেখাবেন না বলেই আশা তাদের। তবে আদৌ কি হতে চলেছে, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে সোমবারই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584