শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানে তারা দু’জনে দুই মেরুর বাসিন্দা। যারা এদের একজনকে পছন্দ করেন, তারা দ্বিতীয় জনকে দু’চক্ষে দেখতে পারেন না। কিন্তু করোনা মহামারী ‘বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাওয়ার মত’ মিলিয়ে দিয়েছে তাঁদের দু’জনকেই।না, ওরা কোনও মানুষ নয়। ওরা দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি, অ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি।
কলকাতার বুকে মারণ ভাইরাস নোভেল করোনাকে ঠেকিয়ে রাখতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও আর্সেনিকাম অ্যালবাম এক ফোঁটা করে খাওয়ানো শুরু করল পুরসভা। মূলত মানুষের শরীরে যাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তার জন্যই এই দুই ওষুধ খাওয়ানোও হচ্ছে। এতদিন বাড়িতে শিশুদের পোলিও খাওয়াতে আসতেন পুরসভার কর্মীরা। এবার বড়দের ওষুধ খাওয়ানো উপভোগ করছে ছোটরাও।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে বলছেন সব চিকিৎসকেরাই। কিন্তু সেই প্রোটিনের জোগাড় করা এই লকডাউনের বাজারে সবার পক্ষে সমান ভাবে সম্ভব নয়। অগ্যতা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ম করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও আর্সেনিকাম অ্যালবাম খাওয়াতে শুরু করেছেন কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই এই ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা, বেনিয়াপুকুর, তালতলা, জানবাজার ও ঢাকুরিয়ার মতো এলাকায়।
এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ একসঙ্গে দুটি ওষুধ নিয়ে গেলেও সব সময় সবাইকে দুটো ওষুধ একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের হার্ট ও কিডনির অসুখ আছে, ডায়াবেটিস আর চোখে গ্লুকোমা জাতীয় অসুস্থতা আছে, তাঁদের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। অন্য যাঁরা আক্রান্ত হতে পারেন, তাঁদের ডোজ মেনে নিয়ম বেঁধে অ্যালোপ্যাথির হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগের আগে তার সমস্ত শারীরিক সমস্যা জেনে নেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা না থাকলে তবেই দুটি ওষুধ একসাথে খাওয়ানো হচ্ছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584