নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সহকর্মীদের ছাঁটাই এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন গুগলের উচ্চপদস্থ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিজ্ঞানী।গুগলের রিসার্চ ম্যানেজার স্যামি বেনজিও সংস্থার আভ্যন্তরীণ ই-মেলে জানান যে তিনি পদত্যাগ করতে চলেছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর সূত্রে সামনে আসে এই তথ্য।এই নিয়ে গুগলের অন্তত দুজন ইঞ্জিনিয়ার পদত্যাগ করলেন তাঁদের সহকর্মীদের ছাঁটাই এর প্রতিবাদে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গবেষক টিমনিট গেব্রু -এর আগে সংস্থা ছাড়েন। এরপর স্যামি বেনজিও যিনি গুগলের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মী, তিনিও গুগল ছাড়তে চলেছেন শীঘ্রই।গুগলের পক্ষ থেকে স্যামি বেনজিওর পদত্যাগের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, যদিও এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন বেনজিও।
আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির পদে থাকার সময়কাল বাড়াতে নতুন আইন পাস করলেন পুতিন
স্যামি বেনজিও গুগলের সঙ্গে ছিলেন গত ১৪ বছর ধরে। গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং আলগরিদম সংক্রান্ত প্রায় এক দশকের অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তিগত একটি প্রকল্প ‘গুগল ব্রেন’-এ প্রথম নিযুক্ত কর্মী বেনজিও।
‘গুগল ব্রেন’ প্রজেক্টের এক গবেষক সারা হুকার, একটি টুইট করে লিখেছেন যে বেনজিওর পদত্যাগ গুগলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এক অভ্যন্তরীণ ই-মেলে স্যামি সংস্থাকে জানিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুগল থেকে পদত্যাগ করার এবং এরপর তিনি অন্য কোন নতুন ধরণের কাজে যুক্ত হতে চান। গুগলে তাঁর শেষ কর্মদিবস আগামী ২৮ এপ্রিল।উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে গুগল তাদের এক গবেষক, মার্গারেট মিশেলকে বরখাস্ত করে। সংস্থা অভিযোগ করে তিনি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ফাইল সংস্থার বাইরে ট্রান্সফার করেছেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সায়েন্টিস্টের সায় নেই সম্পূর্ণ লকডাউনে
কারণ আরেক সহ গবেষকের বরখাস্তের প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।এই সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্যামি বেনজিও, মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার প্রতিবাদেই গুগল থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি।গুগল ব্রেনের আরেক গবেষক নিকোলাস লে রুজ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, স্যামি বেনজিও গুগলকে অনেক বেশি কর্মী বান্ধব পরিবেশ দিতে চেয়েছিলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584