করোনাতঙ্কে ভাটা শতাব্দী প্রাচীন গোপাল জিউর মেলায়

0
60

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

করোনা প্রভাব ফেললো পূর্ব মেদিনীপুরের ৩০০ বছরের পুরোনো পটাশপুরের রাউতাড়া গোপাল জীউ মেলায়। রীতিমেনে মেলা হলেও সাধারণ মানুষের যোগ দেওয়ার অনুমতি নেই। করোনা মুক্ত হলে ফের আগের মতো বড়ো করে মেলা হবে ভেবে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।

gopal jiur | newsfront.co
প্রাচীন বকুল গাছে বাবা গোপাল জীউর ৷ নিজস্ব চিত্র

এবার প্রায় প্রতিটি উৎসবের আবহে থাবা বসিয়েছে করোনা। বাদ পড়েনি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাউতাড়া গোপাল জীউ মেলাও। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে হঠাৎই এক ৪৫০ বছরের প্রাচীন বকুল গাছের মধ্য থেকে আবির্ভাব হয় বাবা গোপাল জীউর।

temple | newsfront.co
বিগ্রহ ৷ নিজস্ব চিত্র

তৎকালীন গ্রামের এক বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ পান বাবা গোপাল জীউকে ঐ বকুলতলায় প্রতিষ্ঠিত করার। সেইমতো মন্দিরের পুরোহিত মধুসূদন আচার্যের পরামর্শে বকুল তলায় বাবা গোপাল জীউকে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং প্রতিদিন সকালে নিত্য পূজা হয় যা আজও রীতিমেনে হয়ে চলেছে।

আরও পড়ুনঃ করোনাতঙ্ক কাটিয়ে টুসু উৎসবে সামিল জঙ্গলমহল

তৎকালীন সময় থেকে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে প্রতিবছর পৌষ পার্বণের দিন বাবা গোপাল জীউর কাছে মেলা বসে যা এখনও হয়ে আসছে ৷ অন্যান্য বার প্রতিবছর পৌষপার্বণের দিন থেকে বসে জমজমাট মেলা। গোপাল জীউ মাঠে চারদিনব্যাপী ২৪ ঘন্টা নাম সংকীর্তন হয়। যেখানে থাকে নরনারায়ণ সেবা, বাতাসা হরিলুট, আতশবাজির খেলা, গীতিনাট্য, আসর কীর্তন, যা ঘিরে গ্রামবাসীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ মেলায় দিনগুলোতে আনন্দে মেতে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ বাজার মন্দা, সুদিনের আশায় এখনও জঙ্গলমহলের হাটে টুসু বেচছেন শিল্পীরা

কিন্তু এবার খাঁখাঁ করছে মেলার মাঠ। রীতিমেনে মেলা হলেও মেলায় তেমন যোগ দিতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। অন্যান্য বছরের মতো থাকছে না নরনারায়ণ সেবা, আতস বাজির খেলা, গীতিনাট্য ,বাউল। শুধুমাত্র নিয়ম-রক্ষার্থেই হবে এই মেলা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here