লকডাউন নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে

0
120

প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ

করোনাকে নিয়ে যেখানে গোটা বিশ্ব কাঁপছে। সেই আতংকের হাত থেকে বাদ পড়েনি ভারতও। দেশকে বাঁচাতে সমগ্র নাগরিককে ইতিমধ্যেই তালা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সাথে কেন্দ্রের সাথে হাত মিলিয়েছে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। কিন্তু এই লকডাউন কেন করা হল, সেই ব্যাপারটাই অনেকে বুঝতে পারছেন না বলে সমস্যা হচ্ছে প্রশাসনের।

empty road | newsfront.co
ফাঁকা রাস্তাঘাট। নিজস্ব চিত্র

অনেকে মনে করছেন এটি রাজনৈতিক দলের বনধের মতোই। তাই এদিনও পুলিশ মাইক বাজিয়ে লোককে সচেতন করে বাড়িতে ঢুকে পড়তে অনুরোধ করছে। তাতে কাজ না হওয়ায় লাঠিচার্জও করে বাড়িতে ঢুকতে বাধ্য করছে প্রশাসন।

medicine shops | newsfront.co
ঔষধের দোকানে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ  লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কড়া নিরাপত্তা বলয়ে আটোসাটো রাজ্য

এমনকি চায়ের দোকানে আড্ডা দেখলেই পুলিশ তা বন্ধ করে দিচ্ছে। রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি বাজার মঙ্গলবার প্রায় ফাঁকা থাকলেও, বুধবার সকাল থেকেই সেখানে ব্যাপক ভিড় ছিল বলে জানিয়েছেন সবজি বিক্রেতা সুভাষ রায়। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার ভিড় একেবারেই ছিল না। সোমবার ভিড় ছিল। তবে আজ আবার আচমকা ভিড় হয়ে গেল।”

home quarantine | newsfront.co
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসনের পোষ্টার। নিজস্ব চিত্র

সম্ভবত টানা ২১ দিন লকডাউন ঘোষণা করার ফলেই বাজারে ফের ভিড় হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে পণ্য সরবরাহ করতে উদ্যোগী হয়েছে রায়গঞ্জের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এ নিয়ে সেই সংগঠনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী হোম ডেলিভারি করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমাদের একশো জন ভলেন্টিয়ার এই কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক।”

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বন্ধ বাস ও গাড়ি, রোগীরা যেতে পারলেন না হাসপাতালে

সবজি ও মাছের বাজারে বুধবার সকালে লোকের ভিড় ছিল। এদিন বিভিন্ন মোড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা রেকর্ড করে শোনানো হয়। পাশাপাশি বাজার-দোকান করতে বেরলেও দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। তবে বেলা বাড়তেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।

এমনকি ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে এবং সেখানে ভিড়ও হচ্ছে। টোটো ও রিকশা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেরই ডাক্তার দেখাতে যেতে সমস্যা পড়ছেন। তবে তৃতীয় দিনে আগের দু’দিনের চেয়ে লোকে অনেকটাই বেশি সচেতন হয়েছেন বলে মনে করছে প্রশাসন।

অনেকে লকডাউন ও রাজনৈতিক দলের বনধের তফাত বুঝতে পারছেন না বলে সমস্যা হচ্ছে, এমনই ধারনা প্রশাসনের। প্রথম দু’ দিনে লকডাউন ভাঙার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল তৃতীয় দিনে সেই প্রবণতা তেমন চোখে পড়েনি। বুধবার লোকে প্রয়োজন ছাড়া পথে নামেনি। গ্রামের দিকেও সচেতনতা লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে রীতিমতো পুলিশের টহল চলছে। জটলা দেখলে পুলিশ সরিয়ে দিচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here