করোনা আবহেও গত বছরের তুলনায় বেশি ধান কেনা ঝাড়গ্রামে

0
26

নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ

করোনা আবহে ঝাড়গ্রাম জেলায় চলতি বছরে সরকারিভাবে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হল। গত বছরের থেকে যা বেশি।

paddy | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২০১৮-’১৯ সালে ১ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। এবার তা ছাপিয়ে গিয়েছে। আগামী মাস পর্যন্ত সরকারিভাবে ধান কেনা চলবে। খাদ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ বর্ষে ঝাড়গ্রাম জেলায় ধান কেনার টার্গেট ছিল ১ লক্ষ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন।

এজন্য জেলায় মোট ৩৮ হাজার ২৯৪ জন চাষি তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তার মধ্যে ৩২ হাজার ৭৫৯ জন চাষি ধান বিক্রি করেছেন।

গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছিল। লকডাউনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের আগে জেলায় ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬২১ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। তারপর মে মাস থেকে ফের ধান কেনা শুরু হয়। মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৩১ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মৃত শিশুর নমুনা সংগ্রহ

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝাড়গ্রাম কিষাণ মান্ডিতে ৪৭২৮ জন চাষি ধান বিক্রি করেছেন। এবার ধানের দাম কুইন্টাল প্রতি ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১৮১৫ টাকা করেছে সরকার।

সিপিসিতে গিয়ে ধান বিক্রি করলে উৎসাহ ভাতা কুইন্টালপ্রতি ২০ টাকা বাড়তি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চাষি কুইন্টাল প্রতি ধানের দাম পেয়েছেন ১৮৩৫ টাকা। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ৯টি স্থায়ী ধান্যক্রয় কেন্দ্র (সিপিসি) রয়েছে।

ঝাড়গ্রাম জেলায় ৯টি স্থায়ী ধান্যক্রয় কেন্দ্রে দালালরাজ ও দুনীর্তি ঠেকাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়াও ১১টি সমবায় সমিতি ২২টি স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে জেলায় ধান কেনার কাজ চলছে।

পাশাপাশি লকডাউনের আগে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দুর্গম এলাকায় শিবির করে ধান কেনা হয়েছে। তবে লকডাউনের পর থেকে সিপিসিতেই বেশি মানুষ ধান বিক্রি করতে আসছেন। প্রতিটি জায়গায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধান কেনা চলছে বলে জেলা খাদ্যদফতর জানিয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here