সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
প্রতি বছর জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে উঠে যায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা।আর সেই সময় থেকেই শুরু হয় ইলিশের মরশুম। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে পাড়ি দেন গভীর সমুদ্রে।আর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায় প্রতি বছরই দেখা গিয়েছে,নানান বিপদের সম্মুখীন হতে হয় মৎস্যজীবীদের।ঠিক যেভাবে ২০১৮ সালের জুন ও জুলাই মাসে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন মৎস্যজীবী।নিখোঁজ হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। আর যার জেরেই নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ট্রলার মালিক ও সরকারি আধিকারিকদের।তাই এবার গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনা এড়াতে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার।
এমনকি উপকূলীয় এলাকায় ট্রলার চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।এখন থেকে প্রতিটি ট্রলারে মৎস্যজীবীদের লাইফ জ্যাকেট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিটি ট্রলারে জিপিএস মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আর এই জিপিএস মেশিনের ফলেই গভীর সমুদ্রে ট্রলারের অবস্থান নির্ধারণ করা যাবে। এমনকি গভীর সমুদ্রে ট্রলার বিপদে পড়লে সহজেই ট্রলারটিকে চিহ্নিতও করা সম্ভব হবে। তাছাড়াও আগে থেকে ট্রলার গুলির অবস্থান নির্ধারণ করা গেলে,গভীর সমুদ্রে ট্রলারের সংঘর্ষও এড়ানো যাবে।তবে এই সমস্ত আইনি পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, এবার থেকে তার উপরে নজরদারি চালাবে সরকার।
আরও পড়ুনঃ দু’দিনের মধ্যেই একই জায়গায় ফের দুর্ঘটনায় মৃত এক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584