মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
২০০টি রাজবংশী ভাষার স্কুল রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। আর এই স্কুল গুলো নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত হয়ে আসছে। তাদের ওই প্রাথমিকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য বইপত্র রয়েছে। গত মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ওই স্কুল গুলোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে পরিদর্শন করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে কোচবিহারে মহামিছিল করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।
এদিন ওই মহামিছিল কোচবিহার রাসমেলার মাঠ থেকে শুরু হয়। সারা শহর পরিক্রমা করে সেই মহামিছিল শেষ হয় রাসমেলার মাঠেই। এদিনের ওই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা তথা রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলার বিভিন্ন ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্বরা সহ কয়েক হাজার মানুষ ৷
এদিন এবিষয়ে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা তথা রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মণ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি রাজবংশী সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘রাজবংশী ভাষায়’ পঠন পাঠন করার জন্য ২০০টি স্কুল আমরা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে
সেই স্কুল গুলোকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার আমরা দাবি জানিয়েছি। আর সেই দাবি গুলো পর্যালোচনা করে গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ২০০ স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার সিধান্ত নেন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে পরিদর্শন করার কথা জানান।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, সৌজন্য সাক্ষাৎ দাবি নবান্নর
সেই ২০০টি স্কুল সরকারি অনুমোদন পাওয়ায় আমরা রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ খুবেই খুশি। সেই কারণে আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে কোচবিহারের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে কোচবিহার শহরে মহামিছিল করে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584