নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
দৌল্লা অঞ্চলের প্রদীপ স্বর্নকার,বৈদ্য বর্মন, লিটন বর্মন নামে তিন যুবক মানচিং পদ্ধতিতে গ্রীনহাউস এফেক্টকে কাজে লাগিয়ে ধানের বীজতলা তৈরির মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে বীজতলা গুলিকে দিনের বেলা জল দিয়ে স্বচ্ছ প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখা হয় তার ফল অতিরিক্ত জল বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে পারে না।প্লাস্টিকে বাধা পেয়ে আবার শিশিরকনা হিসেবে ফিরে আসে যার ফলে সম্পূর্ন জল ব্যাবহৃত হয়।তাদের তৈরী বীজতলা একাধারে যেমন কম খরচে মেশিনের মাধ্যমে রোপন করা যাচ্ছে। ফলনও দিচ্ছে বেশী পরিমানে।গত বর্ষায় যে ধান লাগানো হয়েছিলো তাতে তাদের তৈরী বীজতলা ব্যাবহার করে কৃষকেরা উপকৃত হওয়াতে এই শীতের মরসুমে ব্যাপক হারে তারা বীজ তলা তৈরির অর্ডার কৃষকদের কাছ থেকে পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।তাদের তৈরী বীজতলা প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে রোপন করা হবে।এতে একাধারে যেমন খরচ কমে যাচ্ছে আবার ফলনও হচ্ছে বেশী বলে জানা গেছে। শতাব্দী,রানী,৪০/৯৪,বরদান সহ সাতটি প্রজাতির বীজতলা তৈরী করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই উদ্যোগী যুবকদের পক্ষে প্রদীপ স্বর্নকার জানান তারা কৃষি দফতরের সহায়তায় কোচবিহার থেকে এই বীজতলা তৈরী শিখে এসে জেলায় প্রথম এই পদ্ধতিতে বীজ তলা তৈরী করছেন।তারা প্রতি একর ৩২০০ টাকা হিসেবে বীজতলা তৈরি করছেন বলে জানা গেছে।স্বনির্ভর হতে এই অভিনব উপায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমীর বসে আঁকো প্রতিযোগীতা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584