সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
কয়েক বছর আগেও বাংলা বা ইংরেজি নববর্ষে গ্রিটিংস কার্ড এর মধ্যে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ ছিল। যুগ পাল্টাচ্ছে, সময় পাল্টাচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে মানুষের রুচি। তাই এখন আর টাকা খরচ করে গ্রিটিংস কার্ড কিনে সময় নষ্ট বা অর্থ নষ্ট কোন তাতেই রাজি নয় আট থেকে আশি। সবাই তাই নির্ভর করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে নতুন বছরের আগমন বার্তা এবং পুরনো বছরের বিদায়ের বার্তাটিকে সকলেই উপভোগ করেন। তাছাড়া গ্রিটিংস কার্ড কিনে সেই কার্ডে লিখে তারপর তা পাঠানো দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ কিছুটা খরচসাপেক্ষ বটে। তার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রী অ্যাক্সেস রয়েছে।
বর্ধমানের ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ় অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের যুবক বয়সে ইংরেজি নববর্ষের এত চল ছিলনা, এখন যেভাবে তা পালন করা হয়। তবে বাংলা নববর্ষটিকে সবাই খুব আন্তরিক ভাবেই পালন করতেন। পরবর্তীতে দেখতাম গ্রিটিংস কার্ড এর মধ্যে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় হতো। এখন সেই রেওয়াজ উঠে গেছে।
বর্ধমানের কার্জন গেট এর ব্যবসাদারদের সাথে কথা বলে জানা গেল, আগে যেভাবে গ্রিটিংস কার্ড বিক্রি হতো এখন সে তুলনায় বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে। তাঁরা বলছেন, সবাই যে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করেই শুভেচ্ছাবার্তা জানান তা নয়। অনেকেই আছেন যাঁরা দামী গ্রিটিংস কার্ড কেনেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তাঁদের আত্মীয়রা বাইরে থাকেন। সেজন্য তাঁদের গ্রিটিংস কার্ড এর মধ্যে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় এখনো চলে। কত টাকার গ্রিটিংস কার্ড রয়েছে? জানা গেল এক টাকা থেকে শুরু করে একশো টাকার উপরেও গ্রিটিংস কার্ড রয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তারা সেরকমই কার্ড কেনেন। তবে যেভাবে গ্রিটিংস কার্ডের বাজার কমছে তা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে গিটিংস কার্ড হারিয়ে যাবে না তো!
আরও পড়ুন: কলেজ পড়ুয়ারা বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট পরালো
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584