তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের খামখেয়ালিপনার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক মহল রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের বে-হিসাবি কাজ কর্মে উত্তর দিনাজপুরের অভিভাবক মহল প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।
এমন কি কান্ড ঘটলো যে কথা নেই বার্তা নেই দুম করে ৩০শে জুন পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে হল।
এমনিতেই নির্বাচনের জন্য বেশ কিছুদিন থেকেই বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।পড়াশোনায় প্রচন্ডভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে।তারপর আবার টানা ছুটি?
এই ছুটির কারনে দুই দিক দিয়ে চরম ক্ষতির শিকার হতে হল বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের।একদিকে পড়াশোনার ক্ষতি,অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের হত দরিদ্র ঘরের ছাত্র ছাত্রীরা এই লম্বা ছুটির কারনে বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল থেকে বঞ্চিত হবে।বিদ্যালয়গুলিতে লম্বা ছুটি দেবার কারনে অনেকেই শিক্ষা কেন্দ্রিক আয় থেকেও অনেক মানুষ কে বঞ্চিত করা হল কার স্বার্থে? টানা দুইমাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে সিলেবাস শেষ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ে ঘটা করে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরী করা হয়েছিল তার কি কোন গুরুত্ব থাকলো?এখন সেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাতিল করে পুনরায় নুতন ক্যালেন্ডার তৈরী করতে হবে।যার কোন যুক্তি কেউ খুঁজে পাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা গেল শিক্ষা ক্ষেত্রে যে চরম অরাজকতা চলছে টানা দুইমাস বিদ্যালয় বন্ধের উদ্ভট সিদ্ধান্ত তার জ্বলন্ত একটা উদাহরণ মাত্র।রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্ৰতি বছরই দেখতে পায় পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই আইনের বেড়াজল ভেঙে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যায়।রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার যে কি হাল এর পরে আর বুঝতে অসুবিধা হয়না বলে অভিভাবকদের বক্তব্য থেকেই জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে বিক্ষোভ ঘিরে বিতর্ক
বেশ কিছু অভিভাবকদের দাবী অবিলম্বে শিক্ষা দপ্তর তাদের দুইমাস বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিক ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584