শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
স্বাধীন জীবনযাত্রা করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর মাশুল দিতে হল এক তরুণীকে। নিউটাউনের বাসিন্দা হলেও যাদবপুরে বিক্রমগড় এলাকায় মাসিক ৭ হাজার টাকা ভাড়ায় থাকতেন পল্লবী কর্মকার (২৩)। এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন বলেও জানা গিয়েছে।
৪ দিন ধরে ফোনে তাঁকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙে পুলিশ। দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন ওই তরুণী। গোটা শরীরেই পচন ধরে চামড়া খসে পড়ছে।
ঘটনাটি চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় যাদবপুরের বিক্রমগড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের বিক্রমগড় এলাকায় একটি বাড়ির চারতলায় ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন ওই তরুণী। মাসে ৭ হাজার টাকা ফ্ল্যাট ভাড়া ছিল। তবে এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন। সাড়ে তিন বছর ধরে এখানেই থাকতেন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় আক্রান্ত মৃত আধিকারিকের সন্তান, বেডের অপেক্ষায় পরিবার
নিম্নবিত্ত পরিবারের এই তরুণী এক জায়গায় সেলাইয়ের কাজ করতেন। বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। বাড়িতে মা আর ভাই রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে শেষ বারের মতো বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল পল্লবীকে। তারপর থেকে ফ্ল্যাটের সদর দরজা বন্ধ ছিল। ফ্ল্যাটে এক যুবকের যাতায়াত ছিল। তাঁর সঙ্গে পল্লবী সম্পর্কে ছিলেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। বাড়িতে পুরুষ বন্ধুরা আসা যাওয়া করত, ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারী কর্তারা।
আরও পড়ুনঃ ভর্তির দিনেই কলকাতা মেডিক্যালে মৃত্যু হাওড়ার বাসিন্দার, পাঁচদিন বাঁচিয়ে রাখল হাসপাতালের হেল্পলাইন!
পল্লবির এক মাসির মেয়ে জানান, ‘ওর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে লিভ-ইন করত বলে জানি। ওর অনেকদিন কোনও খবর জানতে পারিনি।’ যাদবপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তরুণীর সেই বন্ধু কোথায় গেলেন, তার খোঁজ শুরু হয়েছে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওই তরুণী শেষ কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে সেই কল লিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584