অবশেষে শীতের দেখা মেলায় খুশি শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা

0
120

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

 

অপেক্ষা করতে করতে ডিসেম্বরের প্রায় অর্ধেক পার হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলেছে উত্তর দিনাজপুরে। স্বভাবতই মুখে হাসি ফুটেছে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের। জেলার কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, ডালখোলা, ইসলামপুরের মতো শহরের কাপড় ব্যবসায়ীরা গরম জামার পসরা দোকানে সাজিয়ে রাখতে শুরু করেছিলেন মাস খানেক আগে থেকেই। কিন্তু এতদিন তেমন শীত না পড়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তবে গত কয়োদিন ধরে আকাশে সূর্যের মুখ ঠিকঠাক দেখা না গেলেও শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি কিন্তু ঠিকই দেখা যাচ্ছে।

 

winter dress2| newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

শহরের শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবারে ছেলেদের জন্য ব্লেজার, মোদি কোট, লেদার জ্যাকেটেরই রমরমা। এছাড়াও মেয়েদের জন্য লেডিস কোট, ফুল জ্যাকেট, স্টাইলিশ চাদর তো রয়েইছে। মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যেই রকমারি শীতের বস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ শহরের বুকে বড়ো বড়ো শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে। সেগুলিতেও আস্তে আস্তে ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে।

winter dress| newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী  বলেন, এবারে প্রথম দিকে শীতবস্ত্রের বিক্রি খুবই মন্দা ছিল। অন্যান্য বছর তো ডিসেম্বরের শুরু থেকেই জেলায় ভালো ঠান্ডা পড়ে যায়। কিন্তু এবারে ডিসেম্বর মাসের অর্ধেক চলে গেলেও জাঁকিয়ে পড়েনি শীত। তাই মাসের শুরুর দিকে দোকানে শীতের জামা কাপড় কেনার ভিড়ও তেমন ছিল না। তবে শীত পড়তেই ব্যবসা জমে উঠবে বলে মনে হচ্ছে। । আধুনিক, ভালো মানের স্টাইলিশ কালেকশন ক্রেতাদের পছন্দও হয়। এবার শীতের বস্ত্র নিয়ে এসেছি মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। তবে শীতের শুরুতে জেলার বিভিন্ন বাজারে স্টল করে ভিন রাজ্যের বিক্রেতারা কম দামে কম্বল বিক্রি করছেন। তাতে আমাদের কম্বলের ব্যবসা অনেকটাই মার খেয়েছে।

 

কালিয়াগঞ্জ এর এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন  জেলায় এবার দেরিতে হলেও শীত পড়েছে। প্রথম দিকে বিক্রিবাট্টা তেমন হয়নি। তবে আশা করছি এবার স্থানীয় বস্ত্র ব্যসায়ীদের ব্যবসা জমে উঠবে।

আরও পড়ুনঃমিউজিক লঞ্চ অনুষ্ঠানে জমজমাট ‘মুখোশ’

গঙ্গারামপুর শহরের কলেজ পড়ুয়া শর্মিলা সরকার বলেন, এবারে জেলায় তো তেমন শীত পড়ছিলই না। রাতের দিকে যাও বা একটু শীত লাগছিল, দিনের রেলা হতে না হতেই সেই আমেজ কেটে যাচ্ছিল। তবে গত তিন-চারদিন ধরে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। এই সময় সুন্দর সুন্দর গরম জামা পড়লে দেখতে ভালোই লাগে। দুয়েকটি দোকান ঘুরে দেখেছি। এখনও কি কি কিনব তার কোনও পরিকল্পনা করিনি। শীতকালে তো পিকনিক করতে যাই। বাইরে ঘুরতেও যাই। তখন একটু ভালো জামা কাপড় তো পড়তেই হয়। সেজন্য শীতের শপিং। ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাক কিনব। শহরের দোকানগুলোর পাশাপাশি শপিং মলেও যাব।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here