পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ হাট পাড়া একসময় মাটির কাঁচা গন্ধে থাকত মাতোয়ারা। ব্যাস্ত কুমোররা হিম-শিম খেতেন চাহিদা মেটাতে। হাট বাজারে মাটির তৈরী জিনিসপত্রের পসরা সাঁজিয়ে বসতেন মৃৎ শিল্পিরা। নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু ছাড়াও শিশুদের খেলনা, সৌন্দর্য্যবর্ধন সামগ্রীসহ বিভিন্ন বাহারি মাটির জিনিসে পূর্ণ থাকত কুমারপাড়া।
ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প নির্মম বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময় কিছু জরাজীর্ণ কুমোর পরিবার গুলো ধরে রেখে ছিল বাপ দাদার এই পেশা। তবে বর্তমানে বাংলার কুটির শিল্পীদের নিজেদের তৈরি সামগ্রী বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে নানান ধরনের মেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: সরকারি ভাতার দাবি মৃৎশিল্পীদের
ফলে প্রতি বছর এই মেলাগুলোতে অনেক বেচাকেনাও হচ্ছে ,শিল্পীদের আয়ও বাড়ছে। কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়ার শিল্পীরা তাই এখন ব্যস্ত মেলার জন্য আগাম নিজেদের তৈরি সামগ্রী প্রস্তুত করতে। কুণোর পাড়ার এক মৃৎ শিল্পী সাবিন্দ রায় জানান এবার তাদের তৈরি মাটির জিনিস শিলিগুড়ি মেলাতে যাচ্ছে।
বছরে বহু মেলা থাকায় তাদের এখন উপার্জনও ভালই হচ্ছে। তিনি আরো জানান বর্তমানে মৃৎ শিল্পের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মানুষ শৌখিনতার জন্য মাটির তৈরি জিনিসপত্র ঘরের বিভিন্ন জায়গায় সাজিয়ে ঘরের শোভা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। এছাড়া বিভিন্ন অফিসে ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।
তাই তাদের নিজস্ব কামার দ্বারা নিত্য নতুন ডিজাইনের মাটির জিনিস বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি সহযোগিতায় শিল্পীদের জন্য নানান মেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।ফলে তাদের তৈরি মাটির জিনিস কলকাতা, শিলিগুড়ি, দিল্লী, গোয়া সহ দেশ বিদেশের বহু প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে।
কুমোর পাড়ার আরেক শিল্পী সুপাল রায় বললেন,” মাঝে অনেকদিন কম চললেও ইদানিং বিক্রি একটু বেড়েছে। লোকজন সৌখিন আসবাবপত্র হিসেবেই মাটির জিনিসের বেশি ব্যবহার করছেন। ফলে এখন আগের থেকে অনেক টাই ভালো আছি।”
আরেক মৃৎশিল্পী উর্মিলা রায় বলেন তারা এখন ভীষন ব্যস্ত থাকেন।বহু বহু মেলায় তাদের তৈরি মাটির
প্রদীপ,ম্যাজিক লন্ঠন, মাটির বোতল, মাটির প্রদীপ, মাটির কাপ প্লেট,মাটির হ্যারিকেন , ইত্যাদির চাহিদা বেড়েই চলেছে।তাই তারা প্রতিদিন তাদের তৈরি নিত্য নতুন সামগ্রী তৈরি করতে ব্যস্ত থাকছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584