শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তাই ওই সব বিদ্যালয় কবে নাগাদ প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব গ্রহণ করবে সেই প্রশ্নই উঠেছে।জানা গিয়েছে যে কাটোয়া মহকুমায় পাঁচটি ব্লকের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩১টি এর মধ্যে ৫৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই।এছাড়াও রয়েছে দুইটি পৌরসভা এলাকা।পৌরসভার মধ্যে যে সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে সেখানে অর্ধেকের বেশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই।প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে টিচার ইনচার্জ অনেকেই হতে চাইছে না।পরিচালন কমিটির তরফ থেকে ইনচার্জ হিসেবে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কিন্তু আদৌ কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা তাই পড়াশোনা ঢিলেতালে চলছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকে।ইনচার্জ বিদ্যালয় চালাতে গিয়ে অফিসের কাজকর্ম অনেকাংশে তাদেরকেই করতে হচ্ছে ফলে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে।
মহকুমা স্কুল শিক্ষা দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে যে কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের মধ্যে ছয়টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের ২১ টি বিদ্যালয় এর মধ্যে ৯টিতে প্রধান শিক্ষক নেই।মঙ্গলকোট ব্লকে ৩৬ টি বিদ্যালয় মধ্যে প্রধান শিক্ষক নেই ১৪টি স্কুলে।এছাড়াও কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকে 24 টি বিদ্যালয় ১৪টি তে প্রধান শিক্ষক নেই।এছাড়াও কেতুগ্রাম ২ এ ২১টির মধ্যে ৬ টি তে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
দাঁইহাট পৌরসভা এলাকার মধ্যে চারটি দলের মধ্যে দুটিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
অনেকেই বলছেন যে যেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নেই সেখানে টিচার ইনচার্জ অফিসের কাজ করতে গিয়েই পাগল হয়ে যাচ্ছেন।তাই বিদ্যালয় পঠন-পাঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার ডি আই খগেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে খুব শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরো পড়ুনঃ চাকদহের টালিখোলা গঙ্গাগর্ভে বিলীন,নীরব প্রশাসন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584