পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে নেই চিকিৎসক। চিকিৎসা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বহু পরিষেবা।সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ,আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের দাবিতে জেলাশাসককে চিঠি দিলেন গ্রামবাসীরা।
লাভপুরের ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঠিবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০১৭ সালের প্রথম দিক থেকেই নেই কোনও চিকিৎসক।রয়েছে কেবল দু’জন নার্স ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী।ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গ্রামগুলি ছাড়াও কীর্ণাহার ও পাশের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীরাও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরই নির্ভরশীল।১৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিকল্প কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রও নেই।
বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ বন্ধ হয়ে গেছে সন্তান প্রসব ও অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি নেওয়া।ফলে চরম সমস্যায় পড়েছে গ্রামের লোকজন। চিকিৎসকের দাবিতে এর আগেও গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন,পথ অবরোধ করেছেন,মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে তৎকালীন জেলাশাসক পি মোহন গান্ধীকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।কিন্তু ফল কিছু হয়নি।
চলতি বছর অগাস্ট মাসে একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযুক্ত হলেও এক মাসের মধ্যে তিনি বদলি হয়ে যান।চিকিৎসক থাকাকালীন দিনে গড়ে ১৫০ রোগী লাইন দিয়ে দেখাতে আসতেন। অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি নেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। এখন দিনে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী আসেন।জ্বর, সর্দি,কেটে যাওয়া প্রভৃতি রোগীদের চিকিৎসা করেন স্বাস্থ্যকর্মীরাই।প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন।অন্তর্বিভাগে ভর্তি নেওয়া হয় না।
আজ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা গণস্বাক্ষর করে চিকিৎসকের দাবিতে জেলাশাসক মৌমিতা গোধারা বসুকে চিঠি দেন।জেলাশাসক জানিয়েছেন,জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুনঃ দুই রাজ্যের বিবাদের জেরে পর্যটক কমছে ম্যাসাঞ্জোরে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584