নেই আলাদা শৌচাগার, কোয়ারেণ্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা অসহায়, উদ্বেগ স্বাস্থ্য দফতরের

0
33

প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ

ভিন রাজ্য থেকে উত্তর দিনাজপুরে ফেরা পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে হোম কোয়ারেণ্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই, রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক।

health department | newsfront.co
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র

জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে স্ক্রিনিং টেস্টের পরে তাঁদের তথ্য লিপিবদ্ধ করে, হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে ‘এইচকিউ’ অর্থাৎ হোম কোয়ারেণ্টাইন। পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতেও সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই পোস্টার।

আরও পড়ুনঃ উত্তর দিনাজপুরে লকডাউনে খাবারের যোগান দিতে উদ্যোগ একাধিক সংস্থার

কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও এর মানেই বুঝতে পারছেন না অনেকে। ফলে নিয়মও মানছেন না তারা। এ নিয়ে তাঁদের ধারণা, স্বাস্থ্য দফতর থেকে থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে নেওয়া মানে তাঁদের শরীরে করোনা জীবাণু মেলেনি।

ফলে অনেকেই বাইক নিয়ে দাপানো শুরু করছেন। কেউ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করছেন। একসঙ্গে আড্ডাও দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ বাড়িতে কোয়ারেণ্টাইনে থাকার মতো পরিকাঠামোও নেই। এর জেরে ব্যাপক চিন্তিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ।

সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, ইটাহার, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি এবং ইসলামপুর ও চোপড়া ব্লকের বেশ কিছু বাসিন্দা, দিল্লি, মুম্বই, কেরল, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন। কেউ নির্মাণ শ্রমিক তো কেউ হোটেল-রেস্তরাঁয় কাজ করেন।

তবে সচেতনতা নিয়ে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত সাত দিনে অন্য রাজ্য থেকে এই জেলায় ফিরেছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁদের ১৪ দিন নজরদারিতে থাকতে বলা হয়েছে। তবে কারও শরীরে করোনা উপসর্গ মিললে,তাদের পাঠানো হবে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।

কিন্তু তার পরেও, বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেমন পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুরেরা অনেকে হোম কোয়ারেণ্টাইনের অর্থ বোঝেন না। আলাদা থাকা, আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তাঁরা তো পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন। আর পরিবারেরর লোকজন বাইরে যাচ্ছেন। এখানেই ভয়। অনেকেই সতর্কতার বিধি পালন করছেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর একটা আশংকা থাকছে। পাশাপাশি এ ধরনের মেলামেশা প্রতিরোধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরএন প্রধান বলেন, “বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে। বাইরে ঘুরলে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে কোয়ারেণ্টাইনে পরিকাঠামো নেই, তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি করছেন। হেল্প লাইন নম্বর দেওয়া হচ্ছে। এমনকি করোনা মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম”ও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here