রাজ্যে শ্বাসকষ্ট-জ্বরের রহস্যময় চলন, স্বাস্থ্য দফতরের কড়া নজরদারি জেলাতে

0
225

নিউজফ্রণ্ট, ওয়েবডেস্কঃ

আভাস দিলেও ধরা দিচ্ছে না; আবার ধরা দিলেও রূপ বোঝা দায়। যেখানে নাই সন্দেহের মেঘ যেন আরও বেশি জমছে সেখানেই। রাজ্যে করোনা সংক্রমনের মানচিত্র খুঁজে পেতে নাজেহাল স্বাস্থ্য দফতর। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট যা এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ তা কোনো জায়গায় দেখা যায় তো কোনো জায়গায় তার নামমাত্রও নেই।

Corona infection | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

বর্তমানে নদীয়া ও কলকাতার যেখানে তেমন একটা করোনা সংক্রমনের খোঁজ প্রায় পাওয়াই যাচ্ছিলো না, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানেই সংক্রমনের উপসর্গ একলাফে প্রবল ভাবে দেখা দিলো। তাই করোনার এই অদ্ভূত চলনে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পর পর দুইবার চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ একসঙ্গে ১২ জন নার্স-সহ মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্ত! বন্ধ পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতাল

মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, ৬০ হাজার আশাকর্মীর দ্বারা একটি সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে, ৭ এপ্রিল থেকে ৩ মেয়ের মধ্যে প্রায় ৫৭ লক্ষ মানুষের মধ্যে আইএলআই ( ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস) ও সারি ( সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) সমীক্ষা চালানো হয়। তার মধ্যে সারি উপসর্গ দেখা দেয় ৮৭২ জনের। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৩৭৫ জনকে। এদের মধ্যে করোনায় সংক্রামিত ৬২ জন। আইএলআই উপসর্গ আছে ৯১ হাজার ৫১৫ জনের। ৬০ হাজার আশাকর্মী এই সমীক্ষা চালিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ” প্রতি সপ্তাহে সারি ( সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) এবং আইএলআই ( ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস)-এর প্রকোপ দেখে করোনার মতিগতি যাচাই করা হচ্ছে। যেখানে যতো বেশি উপসর্গ, সেখানে তত বেশি কড়াকড়ি চালানো হবে।“

অন্যদিকে নদীয়া ও কলকাতায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট (সারি) উপসর্গ বেড়ে যাওয়াতে সেখানে কোনো স্থায়ী সংক্রামনের ‘ক্লাস্টার’ তৈরি হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে চান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে। এছাড়া ও উওর দিনাজপুর, ডায়মন্ড হারবার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় উপসর্গ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন স্বাস্থ্য ভবন। অন্যদিকে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় গত দু’ সপ্তাহে আশ্চর্যজনক ভাবে কোনো এমন উপসর্গই দখা যায়নি। তাই, অবিলম্বে সেসব অঞ্চল থেকে উপসর্গ না থাকার কারন জানতে চান স্বাস্থ্য দফতর। তাছাড়াও নন্দীগ্রাম , বসিরহাট, হুগলি ও মালদহে এই চার অঞ্চলে গত দু- সপ্তাহে কোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য কর্তাদের পর্যবেক্ষণে যা অস্বাভাবিক বলে ঠেকছে।

বিশেষত ২৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে ডায়মন্ড হারবারে আইএলআই –র প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংক্রমনের কারণে এই ব্যাপক বৃদ্ধি কিনা তা সংশ্লিষ্ট জানতে চেয়েছে রাজ্য। এমনকি উত্তর ২৪ পরগণা, জলপাইগুড়ি জেলাতেও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জ্বরে প্রকোপ ও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে সরকারের যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here