পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
তৃণমূল বিজেপির দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বীরভূমের পারুই থানার বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোমাইপুর গ্রাম।
বিজেপির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে এলাকা দখল করতে আসে তৃণমূলের বাইক বাহিনী।বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়,ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়,একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়, তারই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে গ্রামের মানুষকে একজোট হয়ে স্থানীয় বনশনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান পম্পা চৌধুরীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাকে ঘেরাও করে রাখে দীর্ঘক্ষন,বর্তমান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সরোজিত ঘোষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাল্টা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েতের প্রধান পম্পা চৌধুরী দাবি করেন, গ্রামবাসী নয়,বিজেপি কর্মীরাই চক্রান্ত করে গ্রামবাসীদের কে মিথ্যে ভুল বুঝিয়ে আমার বাড়িতে বোমা বাজি করেছে।দুটি মোটর বাইকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ডোমাইপুর গ্রামে পারুই থানার পুলিশ এসে পৌঁছায়, তারপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃণমূল এবং বিজেপির তরফে পারুই থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ উভয়পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে অশান্তি পাকানোর জেরে।
অন্যদিকে বীরভূমের মল্লারপুর থানার কৃষ্ণনগর গ্রামে কাটমানিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চলে ব্যাপক বোমাবাজি।
শুক্রবার ভোররাত থকে গোটা গ্রাম বারুদের গন্ধে ঢেকে যায়।পরে মল্লারপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
মল্লারপুরের তৃনমূলের বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন,জায়গায় জায়গায় বিজেপির হামলা ক্রমশ বাড়ছে।সিপিএম থেকে আসা হার্মাদ বাহিনি এই হামলা চালাচ্ছে বিজেপির হয়ে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি নিরপেক্ষভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বাড়ি ভাঙচুর
বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় অবশ্য বলেন,এতদিন মানুষকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের নেতারা গরিব মানুষের টাকা লুট করে গেছে,এবার গরিব মানুষ সেই ভয় থেকে বেরিয়ে এসে নিজের টাকার হিসেব বুঝে নিতে চাইছে,তাই তৃণমূল নেতারা ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষ ও বিজেপির ওপর হামলা চালাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584