পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত সদাইপুরের সাহাপুর গ্রাম।এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি।গুলি চালানোর অভিযোগ পঞ্চায়েত সভাপতির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।সকাল এগারোটা বাজতেই গ্রামের রাস্তায় মুহুর্মুহু বোমা গুলির শব্দ। এলোপাথাড়ি বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। রাস্তায় যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে বোমের,সুতলি,বোমাবাজির দাগ ও বারুদ। থমথমে সদাই পুরের সাহাপুর গ্রাম।
গ্রামের দখল কার হাতে থাকবে এই নিয়ে মবীণ গোষ্ঠীর সাথে এনামুল গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। নতুন করে ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বিকাল বেলা থেকে। সাহাপুর হাট তলায় এক সবজি ব্যবসায়ী নাম কারিবুল খাঁ,সে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় এনামুল গোষ্ঠীর এক লোকের বাইকে সামান্য ধাক্কা লাগে।এই নিয়ে বচসা শুরু হয় দুজনের মধ্যে,বচসা পৌঁছায় হাতাহাতিতে। এরপর হাটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে যায়।
সাহাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এনামুল হকের অভিযোগ আজ সকাল ১১ টা নাগাদ এসে তাদের ওপর চড়াও হয় মবিন ও কারিবুলের লোকজন।ব্যাপক বোমাবাজি করে এলাকায়, প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তাদের।এনামুল আরও অভিযোগ করে মবিন গোষ্ঠীর লোকজন তৃণমূলের সাথে যুক্ত নয়, তারা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী।
অপরদিকে মবিন খাঁ জানান “আমরা বিজেপি করিনা তৃণমূল এর সাথে যুক্ত কিন্তু এনামুল দূর্নীতিগ্রস্ত তাই তার সাথে থাকি না।পঞ্চায়েতে বাড়ি তৈরি থেকে রাস্তা তৈরি,রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে তোলাবাজি এসবের সাথে আমরা থাকতে পারব না আমরা মমতা ব্যানার্জির আদর্শে তৃণমূল কংগ্রেস করি।ওকে পঞ্চায়েত সভাপতি হিসেবে মানি না সে কারণেই আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে তারা।ব্যাপক বোমাবাজি করেছে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল আমাদের।গুলিও চালিয়েছে তারা।আর সবটাই ঘটেছে পুলিশের সামনে পুলিশ কার্যত ভয় পেয়ে পালিয়ে যাই।” কারিবুল খাঁ এর আরো অভিযোগ সদাইপুর থানার পুলিশ কেউ মারধর করেছে ওরা।
আরও পড়ুনঃ চার দিনের প্রেম থেকে ধর্ষণের অভিযোগ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584