মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যপ্রার্থী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর মা বাবা

0
125

শিব শঙ্কর চ্যাটার্জি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মায়ের করুণ আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।আবেদন ছেলেকে বাঁচানোর জন্য।”মুখ্যমন্ত্রী আপনি আমার ছেলের জীবনটা বাঁচান।” কাঁতর আবেদন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছোট আবিরের মা বাবার।ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে শেষ সম্বল ভিটে মাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছেন গনেশ রায়।এলাকাবাসী ও পরিচিতদের কাছ থেকে ঋণ করে ফেলেছেন অনেক।পারছেন না ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে।তাই সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর বাবা ও মা। নিজস্ব চিত্র

বালুরঘাট থানার পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাপুর্সি এলাকায় বাড়ি গনেশ রায়ের।পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক।বছর এগারো আগে কুমারগঞ্জের রাধানগর এলাকায় বিয়ে করেন তিনি।তাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।নিজের বাড়ি বানানোর জন্য স্বামীর সঙ্গে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন স্ত্রী মুনমুন রায়।সুখেই দিন কাটছিল তাদের।বছর খানেক আগে গুজরাটে থাকাকালীন রায় দম্পতির ছোট ছেলে আবির রায় জ্বরে আক্রান্ত হয়।অনেক চিকিৎসার পরেও জ্বর না কমায় সেখানকার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ছেলেকে ভর্তি করে।সেই সময় ধরা পরে বছর আড়াই এর আবিরের শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ব্লাড ক্যান্সার।

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রথম শুনে অনেকটা মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মতই অবস্থা হয়েছিল রায় দম্পতির।ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।তাই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন,এরপর বালুরঘাটে প্রাইভেটে ও পরে হাসপাতালে ভর্তি করান ছেলেকে।এখানকার চিকিৎসকরা আবিরকে রেফার করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে দশ মাস ধরে চলছে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা।ছোট আবিরকে এখন পর্যন্ত সাতবার দেওয়া হয়েছে কেমো।বর্তমানে একটু সুস্থ থাকলেও পুরোপুরি সুস্থ করতে গেলে করাতে হবে বোন ম্যারো ট্র্যান্সফার।যত দ্রুত সম্ভব দিল্লীর এআইআইএমসে(AIIMS) যোগাযোগ করতে হবে।তবে বোন ম্যারো ট্র্যান্সফার করতে দরকার কম করে সাত আট লাখ টাকা।তাই সাহায্যের আশায় রয়েছেন রায় দম্পতি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here