নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
দুর্গাপুজোর খরচের ঝোড়ো ইনিংসের রেশ এখনও কাটেনি। আবার গৃহস্থের ঘরে আসতে চলেছেন লক্ষ্মীদেবী। অন্যান্য বারের মতো এ বারও এই পুজোর আগে বাজারে জিনিসপত্রের দর চড়ে গিয়েছে।
কিন্তু এ বার মাস শেষে সম্পদের দেবীর আরাধনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্তেরা। থলে তো ভরছেই না, উল্টে পুজোর জন্য বাজারের লিস্টে কাটছাঁট করে দেবীকে অল্পেতেই সন্তুষ্ট করার পথে হাঁটছেন অনেকেই।
উল্টো দিকে পসরা সাজিয়েও হিসেবি গৃহস্থের এইরকম কেনাকাটার বহর দেখে অসন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘বিক্রিবাটা বেশি না হলে আমাদের লক্ষ্মীলাভ কী ভাবে হবে?’’
দুর্গাপুজার সময়েই ফল-ফুলের দাম যা বাড়ার চড়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর আগে ঝাড়গ্রামে ফলের দাম অগ্নিমুল্য । ঝাড়গ্রামের সুভাষ চকের ফলবাজার কিংবা জুবিলী বাজারের ফলের দোকানগুলোর চড়া দাম শুনে আঁতকে উঠছেন গৃহস্থরা।
আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই পুজো, পথের ধারে পসরা নিয়ে বিক্রেতারা
শনিবার আপেল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, চাপা কলা ৪০ টাকা, নাসপাতি ১০০ টাকা,আঙ্গুর দুশো টাকা কেজি, বেদানা ১৪০ টাকা কেজি, পেয়ারা ১৪০ টাকা কেজি, এক পিস কমলা লেবু বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়, একটি বাতাবি লেবু প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
লক্ষ্মীপুজোয় যে উপকরণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই ধানের শীষ বিক্রি হয়েছে কুড়ি টাকা পিস। পদ্মফুল ৫ থেকে ২০ টাকা পিস। আতা বাজারে উঠেছে কম। কিন্তু দাম সাংঘাতিক নাগালের বাইরে এক কেজি আতার দাম ১৪০ টাকা। পুজোয় আয়োজন করতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গৃহস্থের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584