নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের বিবিহার গ্রামে প্রায় ৩০০ বছর ধরে মুসলিম ও হিন্দু দুই সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে আসছে কালীপুজো।
জানাযায় বহু বছর পূর্বে ইংরেজ আমলে এলাকার বাসিন্দা দশরথ সিং প্রথম এই কালীপুজোর শুভ সূচনা করেছিলেন। তারপর মাঝে আর্থিক সংকটের জেরে কিছুদিনের জন্য কালীপুজো বন্ধ হয়ে যায়। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে বিবিহার গ্রামের কালীপুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নানান সমস্যা দেখা দিতে থাকে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় কালীপুজো উদ্বোধনে এলেন সাকিব
তারপর প্রায় এক প্রজন্ম পরে হরিচরণ সিং পুনরায় এই কালীপুজো চালু করেন। তারপর থেকেই প্রত্যেক বছর সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ভুলে দীপাবলির রাতে গ্রামের মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে এই কালীপুজোতে আনন্দে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুনঃ প্রথা মেনে পূজিতা গোয়ালতোড়ের চক্রবর্তী বাড়ির মা কালী
জানাযায়, একই দিনে পুজোর পর অমাবস্যা তিথি শেষ হলে মন্দির পার্শ্ববর্তী পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় জাগ্রত কালী মাতার মূর্তিকে। পাশাপাশি পাঁঠা ও পায়রা বলির প্রচলন রয়েছে এই মন্দিরে।
দেশজুড়ে যেখানে সাম্প্রদায়িকতা এবং অসহিষ্ণুতার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ উঠে আসে ঠিক সেই জায়গায় বিবিহার গ্রামের বাসিন্দারা বহু বছর ধরে হিন্দু-মুসলিম একত্রে কালী পুজোর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ে তুলেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584