পল্লব দাস,ব্যারাকপুরঃ
কলকাতার উপকন্ঠে ব্যারাকপুরের এই ক্যান্টনমেন্ট ছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাঁটি।ব্যারাকপুর রেলস্টেশন লক্ষ্য করলে হয়তো দেখা যাবে অন্য রেল স্টেশন গুলির থেকে এটি অনেকটাই আলাদা। এই স্টেশনের আনাচে কানাচে যেন ইতিহাস ভীড় করে আছে ।
১৭৭২ সালে ব্রিটিশ সেনা ছাউনী তৈরি করা হয়।পরে সেইজন্য সম্ভবত নাম হয় ব্যারাকপুর।মঙ্গল পান্ডে,হলেন নেটিভ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের সিপাই, কোম্পানি নং ৫, রেজিমেন্ট নম্বর ৩৪ এবং নিজের নম্বর ১৪৪৬।কার্তুজ কাটা নিয়ে অসন্তোষের স্ফুলিঙ্গ এতটাই আগুন ছড়ায় যে তা রূপ নেয় বিদ্রোহের ,আর সেটি হয় এই ব্যারাকপুর থেকেই।দেশীয় পদাতিক সৈন শিবির মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। নাগরিক বিদ্রোহের ধারাবাহিকতায় ১৮৫৭-র মে থেকে অগাস্ট পর্যন্ত চলেছিল সিপাহীদের বিদ্রোহ।দিল্লীর ক্ষমতাহীন মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর তখন ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গার গর্জে ওঠা বিদ্রোহী সেনাদের কাছে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।বিভিন্ন অনৈতিক প্রস্তাব সম্পর্কে প্রতিবাদে সম্মিলিত ফল সিপাহী বিদ্রোহ।অবশেষে এই আন্দোলন চরম পরিণতি না পেলেও মঙ্গল পান্ডে ও তার ভাই এবং মাতাদীন বাল্মীকিকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহকে মহা বিদ্রোহ বলা যায় কিনা এনিয়ে দ্বিমত থাকলেও ভারতীয় স্বাধীনতা ইতিহাসে এই বিদ্রোহের গুরুত্ব অবশ্যই আছে। আর ব্যারাকপুর শহরের বিভিন্ন অঞ্চল এই ইতিহাস বহন করে চলেছে।
আরও পড়ুন: টাকার দাম পড়ছে পেট্রোপণ্যের মূল্য বাড়ছে,নিষ্পেষিত মধ্যবিত্ত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584