উজ্জ্বল দত্ত,কলকাতাঃ
বিবেকানন্দ আজও প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু’দিনের রাজনৈতিক সফরে শনিবার কলকাতায় আসেন অমিত শাহ।
শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় তাঁর কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা থাকলেও, রাত দেড়টায় তাঁর প্লেন এসে নামে দমদমে। দিল্লিতে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য তাঁর প্লেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি।
আজ সকালে এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় একের পর এক বিস্ফোরণ, মুর্শিদাবাদে আলকায়দা যোগ নিয়েই সম্ভবত এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বৈঠক শেষে উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে যান অমিত শাহ। স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটে পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির এগারো জনের প্রতিনিধিদল।
সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে মহারাজদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। জলযোগও সারেন সেখানে। মহারাজরা বেশ কিছু বই ও উত্তরীয় উপহার দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এদিকে বাইরে তখন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকের ভিড়। কেন্দ্রীয় নেতাকে একবার স্বচক্ষে দেখতে চান তাঁরা। ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।
আরও পড়ুনঃ জোড়া ফুল থেকে পদ্ম শিবিরে গেলেন যারা
এদিকে রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সন্ধিক্ষণে শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, আজই মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে জানা গেছে কলকাতা থেকে একইসঙ্গে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা শুভেন্দুর। তবে আজ সিমলা স্ট্রিটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বিষয়ে কিছুই বললেন না অমিত শাহ। বরং, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনদর্শনের কথাই তুলে ধরলেন তিনি ।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর কলেজ মাঠের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কার ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’
বললেন, “স্বামীজি তাঁর স্বল্প জীবনদশাতেই ভারতের জ্ঞান, ভারতের দর্শন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যখন আমেরিকায় সর্বধর্ম সম্মেলন হয়েছিল, তখন স্বামীজি একটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে হিন্দু সনাতন ধর্ম বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরে ছিলেন। স্বামীজি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতাকে যুক্ত করেছিলেন।”
আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু
অমিত শাহ আরও বলেন, “স্বামীজি গোটা দেশকে আহ্বান করেছিলেন আগামী পঞ্চাশ বছর গোটা দেশবাসী যেন অন্য দেবদেবীর আরাধনা ছেড়ে শুধু ভারত মাতার আহ্বান করেন। আর সেই দিনের ঠিক পঞ্চাশ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আজ স্বামীজির জন্মস্থানে এসে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। একটা পূণ্য অর্জন করে এখান থেকে ফিরছি।
আমি আজও বিশ্বাস করি, পঞ্চাশ বছর আগে স্বামীজি যতটা প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক আছেন। সেদিন স্বামীজির চিন্তাভাবনা যতটা প্রয়োজন ছিল, আমি মনে করি আজ তার থেকে বেশি প্রয়োজন। স্বামীজির দেখানো পথে চলার জন্য আমাদের সকলকে যেন ভগবান আর্শীবাদ দেন, সেই প্রার্থণা করছি। অনুপ্রেরণা প্রার্থণা করছি। এই পথ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে। “
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584