সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে আর পঞ্চায়েত অফিসে আসেননি প্রধান। আউসগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান না আসার ফলে বাসিন্দাদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। রেশন কার্ড করানো বা বাতিল করা, জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া থেকে শুরু করে জমিজমা রেকর্ড করানো সমস্ত কিছুতেই প্রধানের স্বাক্ষরের দরকার হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রধান না আসার ফলে সেই সব কাজ একেবারেই হচ্ছে না। যা নিয়ে ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
উল্লেখ্য,বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব-বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভা।এই অঞ্চলটি ছিল সিপিএম-এর দুর্ভেদ্য দুর্গ। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে আসে। তার পরে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল।তাঁর খাসতালুকেই লোকসভা ভোটের পর এলাকাছাড়া দলীয় প্রধান।এই পঞ্চায়েতের অধীনে কুড়িটিরও বেশি গ্রাম রয়েছে।যে গ্রামগুলির অবস্থান পঞ্চায়েত অফিস থেকে অনেক দূরে।সেই সমস্ত এলাকা থেকেও মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে প্রতিদিন।
প্রধান সঞ্জিত বিশ্বাস অবশ্য বলছেন,ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিজেপি ক্রমাগত হুমকি দিয়েছে। সেজন্যই তিনি ঘর ছাড়া। পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারছেন না।পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনকে।
বিজেপি নেতা দেবব্রত মন্ডল বিজেপির এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, প্রধান সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা কথা বলছেন। উনি দুর্নীতিতে যুক্ত। সাধারণ মানুষের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
যদিও দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান।আউসগ্রম ২ বিডিও সুরজিৎ ভর বলছেন, প্রধান অনুপস্থিত থাকলে পঞ্চায়েতের অন্য কর্মচারীরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করবেন।কিন্তু প্রধান পঞ্চায়েতের ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন এমনটা তিনি জানেন না।উনি কেন অফিসে আসছেন না সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো খবর নেই।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির সন্ত্রাস রুখতে আলিপুরদুয়ারে মিছিল অরূপের
মালিয়ারা, গোপালপুর, খটনগরের বাসিন্দারা নিয়মিত এসে ফিরে যাওয়াতে রীতিমতো বিরক্ত।দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা অন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানাচ্ছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584