নবদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলে জাঁকিয়ে বসেছে মধুচক্রের রমরমা কারবার

0
1839

শ্যামল রায়, নবদ্বীপঃ

নদিয়া জেলার মায়াপুরে অসংখ্য গেস্টহাউস গড়ে উঠেছে। দিনের পর দিন এই সকল গেস্টহাউসে দেহব্যবসা বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

সূত্রের খবর, এই সমস্ত গেস্টহাউসে ফ্লাইং মহিলাদের ভিড় অনেক বেশি। এছাড়াও বহিরাগত কলেজ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা এ সমস্ত গেস্টহাউসে এসে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যান বলে জানা গিয়েছে।

নদিয়া জেলার সব থেকে পরিচিতি জায়গা মায়াপুর। মায়াপুরের মন্দির ছাড়া সমস্ত গেস্টহাউসে ঘন্টায় ঘন্টায় ঘর ভাড়া পাওয়া যায়। ঘন্টা পিছু ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার রেট আছে। খাবারের হোটেল কে সামনে রেখে পিছনে মার্বেল পাথরের অট্টালিকার বিভিন্ন গেস্ট হাউসে চলে এই ধরনের মধুচক্রের কারবার- অভিযোগ এলাকাবাসীর।

Honeycomb in various hotel at nabadwip | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

জানা গিয়েছে যে, আগে ওই সমস্ত গেস্টহাউসে মহিলাদের রেখে রমরমা কারবার চলত মধুচক্রের। এখন মোবাইলের যুগে ফোন নম্বর দিয়ে ডেকে আনা হয় দেহ ব্যবসায় জড়িত মহিলাদের।

এছাড়াও হুলোর ঘাট থেকে শুরু করে পুরো মায়াপুর চত্বর জুড়ে যে সমস্ত গেস্টহাউস রয়েছে সবকটিতেই মধুচক্রের কারবার চলে। আগে পুলিশের নেতৃত্বে টহল চলত কিন্তু এখন আর তা হয় না বলেই জানিয়েছেন এলাকাবাসিরা।

নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন গেস্টহাউসেও এই ধরনের ব্যবসা হয় বলে অভিযোগ। শহরবাসীর একটা অংশ জানিয়েছেন যে, নবদ্বীপ মায়াপুর নদিয়া জেলার বিভিন্ন শহরগুলোতে যে সমস্ত গেস্টহাউস তৈরি হয়েছে এখানে মধুচক্রের ব্যবসা না হলে ওই সমস্ত গেস্টহাউসগুলো ফুলেফেঁপে উঠত না। এর পিছনে রয়েছে যুবক-যুবতীদের আনাগোনা এবং বাড়ির মহিলাদের উপস্থিতি।

ফোন করলেই মিলে যায় মহিলা- এমন কথাই মুখে মুখে চলে মায়াপুরের বিভিন্ন টোটো এবং রিকশাচালকদের। এমনকি রিক্সা চালক থেকে শুরু করে যে কোনও যানবাহন চালকদের একটা বড় অঙ্কের কমিশন থাকে যদি তারা কোনও কাস্টমারকে পৌঁছে দেয় সে সমস্ত গেস্টহাউসে।

ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে মধুচক্রের আসর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৩ জন মহিলা এবং ৯ জন পুরুষকে।

আরও পড়ুনঃ মধুচক্রের মূলপান্ডা গ্রেফতার বালুরঘাটে

জানা গিয়েছে, কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কৃষ্ণনগর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেলে হানা দিয়ে এই মধুচক্রের আসর থেকে মহিলা-পুরুষদের গ্রেফতার করেছে। গেস্টহাউস এর মালিক উত্তম নন্দী কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

শীত পড়তেই এই ধরনের ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে বিভিন্ন শহরের গেস্টহাউসগুলোতে। এলাকাবাসির দাবি, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তাঘাটে দাঁড়িয়ে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে বিভিন্ন গেস্ট হাউসে কিভাবে ঐ সকল মহিলা এবং যুবক-যুবতীরা আসছেন, বেরোচ্ছেন।

যদিও পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নিয়মিতভাবেই অভিযান চালান এবং নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন ওই সকল হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here