নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সদনে সিধু কানহু র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ১৪৫ তম হুল উৎসবের সূচনা করেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের মন্ত্রী ড, সৌমেন মহাপাত্র । ১৮৫৫ সালে জমিদার ও ইংরেজদের হটাতে হুল আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় , তাই স্বাধীন দেশে হুল দিবস হিসেবে পালন করা হয় এই দিবস টিকে । প্রতিবছর উৎসাহের সাথে এই দিনটি পালিত হলেও এই বছর করোনার কারনে খুবই সংক্ষেপে এই অনুষ্ঠান করা হয়।
প্রত্যেক বক্তাই তাদের বক্তব্যে মনে করিয়ে করোনার জন্য লাড়াই চালিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা সহ-সভাপতি অজিত মাইতি জেলাশাসক রেশমি কমল জেলার পুলিশ অধিকর্তা দিনেশ কুমার এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার।
অন্যদিকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পালন করা হয় হুল দিবস এমনই একটি সংগঠন জঙ্গল মহল উদ্যোগের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে কেরানীচটিতে পালিত হলো হুল দিবস। এদিন সকালে কেরানীচটিতে অবস্থিত সিধু,কানুর মূর্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয়। দিনটির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করেন শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া।
আরও পড়ুনঃ বিধাননগরে নির্মীয়মান অডিটোরিয়াম পরিদর্শনে রবীন্দ্রনাথ
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুব্রত মহাপাত্র,পরিমল মাহাত, মণিকাঞ্চন রায়, নরসিংহ দাস,রীতা বেরা, ইন্দ্রদীপ সিনহা, ফাকরুদ্দিন মল্লিক, রাজেশ বেরা প্রমুখ। উল্লেখ্য ১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন ঔপনিবেশিক ভারতে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদর বিরুদ্ধে এবং জমিদার ও মহাজনী শোষনের বিরুদ্ধে সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব, ডমন মাঝি, কালো প্রামানিক দের নেতৃত্বে ‘হুল’ বা সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ উইবো-তে মোদীর ফলোয়ার্স ২ লাখেরও বেশি
পাশাপাশি হুল দিবস পালন করা হলো বেলদা তে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে ১৬৫ তম বর্ষ হুল দিবস পালন করলো পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা ২ অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায় মানুষরা। সিধু, কানহু, চাঁদ, ভৈরব কে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধামসা মাদল বাজিয়ে এই হুল দিবস পালন করা হয়।তবে অন্যান্য বছরের মতো এ বছর অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব রীতিনীতি মেনে মঙ্গলবার বেলদা ২ অঞ্চলের আদিবাসী মানুষরাই হুল দিবস পালন করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584