নিজস্ব সংবাদদাতা,সিউড়িঃ দেরীতে হলেও এবার সিউড়ি শহরের রেস্তোরাঁতে নজরদারী শুরু হল প্রশাসনের মঙ্গলবার সিউড়ি পুরসভার স্যানিটেশন দফতরের আধিকারিকেরা সিউড়ি থানার পুলিশ কে নিয়ে এদিন অভিযান চালায়। শহরের এস পি মোর থেকে বাসস্ট্যান্ড
পর্যন্ত প্রায় গোটা দশেক ছোটো বড় রেস্তোরাঁতে এদিন অভিযান চালানো হয়। প্রায় প্রতিটি রেস্তোরাঁতে ফ্রিজের মধ্যে রান্না করা এবং কাঁচা মাংস ছিল। যেগুলি অনেক দিনের বলে দাবি অভিযানকারী আধিকারিকদের।
শহরের পার্কের সামনের একটি রেস্তোরাঁতে বাসি রান্না করা মাংস উদ্ধার হয়।
যেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি আধিকারিকদের। সেগুলি তারা ফেলে দেন।
অভিযানকারী দলকে ওই রেস্তোরাঁ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি এদিন। আধিকারিকেরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে কাগজপত্র দেখাতে।
প্রতিটি রেস্তোরাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ফ্রিজে রাখা মাংস যাতে না
বিক্রি করা হয়। এদিকে মুরগি ও খাসির মাংস বিক্রেতাদের দাবি ভাগার কান্ডের
জেরে তাঁদের ব্যবসাতেও প্রভাব পড়েছে।
প্রতিটি হোটেল বা রেস্তোরাঁ আগে যা
তাঁদের প্রতিদিনের বরাদ্দ ছিল তাঁর থেকে অনেক কম মাংস এখন তারা নিচ্ছেন। হোটেলে বা রেস্তোরাঁতে অনেকেই মাংসের পদ এড়িয়ে চলছেন। সিউড়ি
শহরের অভিজাত রেস্তোরাঁর কর্নধার সঞ্জয় অধিকারী বলেন, প্রশাসনের এই
উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। তবে এটা এক বার নয় প্রতি মাসে নিয়মিত নজরদারি
করতে হবে। তাহলে অসাধু কারবারীদের একটা ভয় থাকবে। ভাগার কান্ডের ফলে
মাংসের পদের চাহিদা অনেক কমে গিয়েছে। এর পরিবর্তে পনির ও মাছের পদ এখন
পছন্দ করছে ভোজন রসিকেরা। সিউড়ি পুরসভার স্যনিটারি আধিকারিক সুব্রত
চক্রবর্তী বলেন, আমরা এদিন অনেক রেস্তোরাঁতে হঠাৎ অভিযান চালিয়েছি।
অনেক জায়গায় বাসি এবং কাঁচা মাংস ফ্রিজে রাখা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এর
মধ্যে বেশ কিছু ছিল খাওয়ার অযোগ্য। সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি যাতে বাসি বা
ফ্রিজে রাখা খাবার বিক্রি না করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584