নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। তাই সকলেই বাড়িতে ঘরবন্দি হয়ে আছেন।স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সবই বন্ধ হয়ে আছে। বন্ধ হয়ে আছে দোকানপাট, হোটেল থেকে শুরু করে সবকিছুই।
কিন্তু এই লক ডাউনের কারণে সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সেই সব দুঃস্থ মানুষরা। বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। পাশাপাশি এই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিভিন্ন হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরাও।
এই লকডাউনে হোটেল ব্যবসা বন্ধ থাকায় কর্মীদের মাইনা দিতে পারছেন না হোটেল মালিকরা। তাই যে অন্য কিছু করবে সেটারও কোনো উপায় নেই কর্মীদের।এই একই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরের এক হোটেল মালিক। জটেশ্বর বাজারেই রয়েছে কৃষ্ণাবাবুর একটি হোটেল।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যুবকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুলিশের সহযোগিতা
এলাকার ও বাইরে থেকে বাজারে আসা ও কাজের সূত্রে জটেশ্বরে আসা মানুষেরা এবং স্থানীয়রা অনেকেই এই হোটেলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই লক ডাউনের কারণে হোটেল ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। হোটেল খোলা নেই বলে ক্রেতারও দেখা নেই। ফলে পকেটে টান পড়েছে হোটেল মালিকের। শুধু তাই নয় পাশাপাশি টান পড়েছে হোটেলের কর্মচারীদেরও।
এই অবস্থায় পেটের তাগিদে লক ডাউনের মাঝে বাধ্য হয়ে পেশা বদল করতে হয়েছে ওই হোটেল মালিক কৃষ্ণ দেবনাথকে। পরিবার বাঁচাতে তিনি হোটেলের সামনে তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেন। এই মরশুমে তরমুজের চাহিদা বেশি,তবে লক ডাউনের কারণে এবার তরমুজের চাহিদাও বেশ কম।
তবে হাতে কোনো কাজ নেই বলে তরমুজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। তবে পেটের তাগিদে তরমুজ বিক্রি করে সামান্য কিছু আয় করছেন তিনি। রবিবার সকালের দিকে কৃষ্ণাবাবু ও অন্য কর্মচারীরা এক সাথে হোটেলের সামনেই তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এই বিষয়ে হোটেল মালিক কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, ‘হাতে কাজ নেই,টাকাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে কিছু টাকার জন্য সকলে মিলে তরমুজ বিক্রি করছি’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584