পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
উওর দিনাজপুর জেলা করণদিঘী থানার করণদিঘী বাসিন্দা চন্দন বিশ্বাসের সাথে ৮ মাস আগে বিয়ে হয় বুনিয়াদ শেরপুর এলাকার মেয়ে পাপড়ি মজুমদারের। বালুরঘাটের একটি লজ থেকে পারিবারিক মতেই দুজনের বিয়ে হয়, বিয়ের চার মাস পর থেকেই শ্বাশুরী সহ স্বামী চন্দন বিশ্বাস প্রায়ই পাপড়ি মজুমদারের উপর মারধর, গালাগালিজ কটুক্তি করে।
মেয়েটির বাবার বাড়িতে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, কয়েক দফায় বেশ মোটা অংকের টাকা দেয় মেয়েটির বাবা জামাই চন্দন বিশ্বাসকে। গত চারমাস ধরে শ্বাশুড়ির অত্যাচার চরমে ওঠে। গরম তেল তার হাতের মধ্যে ছেকা দেওয়া, স্বামী চন্দন বিশ্বাস মারধর করে পাপড়ির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ প্রেমে প্রত্যাখ্যান, আত্মঘাতী যুবক
এরপরেই মেয়েটির বাবা সহ মামা এসে মেয়েটিকে সুস্থ করে রেখে যায় শ্বশুর বাড়িতে। কিছুদিন ঠিক থাকার পড়ে আবার মেয়েটিকে স্বামী সহ শাশুড়ি অত্যাচার করে, এরপরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই করণদিঘী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখে।
মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করেন চন্দন বিশ্বাস সহ শ্বাশুড়িকে গ্রেফতার করে তাদের শাস্তির দাবি করেন। এলাকার লোকজন বলেন পণের জন্যই গৃহবধূর মৃত্যু হলো। প্রশাসনের কাছে কড়া শাস্তির দাবি করেন তারাও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584