স্ত্রী পণ দিতে রাজি না হওয়ায় গায়ে কেরোসিন ঢালল স্বামী

0
115

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ

পণের দাবিতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গৃহবধূর। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

housewife suicide | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রুমি বিবি(২০), স্বামী মহম্মদ তারেক। বাড়ি পুরাতন মালদার মহিষবাথানি এলাকায়। মহম্মদ তারেক পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক। জানা গিয়েছে, পুখুরিয়া থানার মহারাজপুর এলাহাবাদ গ্রামের বাসিন্দা রাফিউল হকের মেয়ে রুমি বিবির সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয় মহম্মদ তারেকের।

বিয়ের সময় মেয়ের বাবার বাড়ি থেকে মোটরবাইক, নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ আরও কিছু পণ নেয় ছেলের বাড়ির লোক। তা সত্ত্বেও বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে আরও পণের দাবী করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। গৃহবধূর উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার।

আরও পড়ুনঃ কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২

এই নিয়ে গত এক মাস আগে গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সালিশি সভা হয়। তারপরে আরও দুই লক্ষ টাকা পণ দাবি করে ছেলের বাড়ি। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে রাজি না হলে রবিবার রাতে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী। কিন্তু প্রাণে বাঁচতে স্বামীকেই জড়িয়ে ধরে স্ত্রী।

এরপর পরিবার ও প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে তাকে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের মালদা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গৃহবধূর।

স্বামীও মালদা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি। তবে তার সেরকম ক্ষয়ক্ষতির হয়নি। স্বামী স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকেরা। স্বামী-সহ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তারা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here