কতটা নিরাপদ রাশিয়ার ভ্যাকসিন? পরীক্ষা করার কথা বললেন এইমস ডিরেক্টর

0
66

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে এল রাশিয়া৷ ১৯৫৭ সালে যেভাবে আমেরিকা-সহ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে রাশিয়া মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল ঠিক সেইরকমভাবেই এবারও করোনা মহামারিতে চমক দিয়ে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলো রাশিয়া।

AIIMS Director | newsfront.co
রণদীপ গুলেরিয়া। ফাইল চিত্র

মঙ্গলবার ওই ভ্যাকসিন সরকারি অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে সে দেশে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভ্যাকসিনের ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করছেন৷ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন, রাশিয়ার আনা করোনা ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত ও কার্যকরী, তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন৷

তাঁর কথায়, ‘যদি রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন সাফল্য পায়, তা হলে আমাদের দেখতে হবে ভ্যাকসিনটি কতটা নিরাপদ ও কার্যকরী৷ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকা উচিত নয়৷ একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে৷ কারণ ভ্যাকসিনের গণ উত্পাদনের ক্ষমতা ভারতের রয়েছে৷’ মঙ্গলবার টেলি-কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলেছে রাশিয়া।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এল রাশিয়া, পুতিন কন্যার উপর প্রথম প্রয়োগ

সরকারি ভাবে তার প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে পুতিনের মেয়ের শরীরে। তিনি জানান, ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের পরে মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল। পরে আবার তা ঠিক হয়ে যায়। এখন মেয়ে সুস্থ বোধ করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং আরডিআইএফ (রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে গামালিয়া ইনস্টিটিউট।

আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল ৪৬ হাজারের গণ্ডি

প্রথম উৎক্ষেপিত কৃত্রিম উপগ্রহের নামেই ভ্যাকসিনের নাম রাখা হয়েছে স্পুটনিক ভি। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার পথেই হেঁটেছে বলে দাবি রাশিয়ার।অ্যাডিনোভাইরাসের দুটি স্ট্রেনকে জিনগত ভাবে বদলে, তার ক্ষমতাকে দুর্বল করে ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

পুতিনের দাবি, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনটি কার্যকরী এবং মানবদেহে দীর্ঘস্থায়ী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। রুশ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ওলেগ গ্রিদনেভ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃতীয় পরীক্ষাটির শেষধাপ চলছে। এই ধাপ সম্পূর্ণ হলেই বাজারে আসবে রাশিয়ার করোনা টিকা। রুশ প্রশাসনের দাবি, এ মাসেই চিকিৎসক, শিক্ষক-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here