নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ
আমপানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে জেলার চাষীরা। করোনা সাধারণ মানুষের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। লকডাউনের মধ্যে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের। সবজির দাম না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তার ওপর আমপান চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিল।
আমপানের তাণ্ডবের আঁচ পেলো বাঁকুড়া জেলা। গতকাল সকাল থেকেই জেলা জুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি সঙ্গে দমকা হওয়া। বেলা যত বেড়েছে তত বেড়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট। বিকেলের দিক থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। বাঁকুড়া হাওয়া অফিস জানাচ্ছে গতকাল বাঁকুড়া জেলায় সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৫০ কিমির উপর। আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৫১.৪ মিলিমিটার।
ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বাঁকুড়া জেলার বোরো ধান চাষীদের। পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন সবজি চাষীরাও। জমিতে জল জমে যাওয়ায় বিঘার পর বিঘা ধান জলের তলায়। মাথায় হাত পড়েছে ধান চাষীদের কেননা এই ধন থেকে চাল তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সবজি চাষীরা । বিভিন্ন এলাকায় পটল মাচা ভেঙে পড়েছে সব মিলিয়ে করোনা অবহের মধ্যে আমপান চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিল ।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের সময়কে কাজে লাগিয়ে মুখোশ বানালেন শিল্পী লক্ষ্মী
এছাড়াও একাধিক জায়গায় ঝড়ের দাপটে গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তার উপর । রাতের অন্ধকারে সেই গাছ সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষ এবং পাত্রসায়ের নারায়ণপুরে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়িতে ফাটল ধরেছে এবং বাড়ির চালা ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছে যদিও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি । বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অসহায় সাধারণ মানুষ গুলো । স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় পরিবারগুলিকে নিকটবর্তী সরকারি স্কুলে রাখা হয়েছে ।
আরও পড়ুনঃ নিজের গ্রামে ফিরেও তাঁবুতে ঠাঁই ১০ পরিযায়ী শ্রমিকের
সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর এর জয়দেব বিশ্বাস শ্যামল দাস নামের চাষিরা বলেন , লকডাউনে এমনিতেই সবজির দাম পায়নি তার ওপর আমপানের প্রভাবে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলো । এই ধান থেকে আর চাল তৈরি করা সম্ভব নয় । এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে কিভাবে সংসার চলবে তাই ভেবে কুল পাচ্ছিনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584