পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
সাক্ষীর অভাবে জামিন না পেয়ে অনশনে বিচারাধীন বন্দিরা।এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল সিউড়ি সংশোধনাগারে।মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে বীরভূম জেলা ও অন্যান্য জেলা থেকেও প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন থানার পুলিশ।তাদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। এবং মাদক সংক্রান্ত একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় তাদের নামে কিন্তু বারবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হলেও সাক্ষী দিতে আসেন না পুলিশকর্মীরা।বেশিরভাগ সময়েই পুলিশকর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দোহাই দিয়ে আদালতে অনুপস্থিত থাকছেন এমনটাই দাবি করছে আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।তিনি জানান, “কোনো কোনো আসামি কেউ দু’বছর, কেউ এক বছর, কেউবা ছয় মাস।দীর্ঘদিন যাবত জেল খাটলেও সাক্ষীর অভাবে জামিন হচ্ছে না তাদের এই অভিযোগে গতকাল দুপুর দশটা থেকে অনশনে বসেছে প্রায় ৫০ জন বিচারাধীন বন্দী।”
এই বিষয়ে বিচারাধীনবন্দী বিশ্বজিৎ দাস জানান,” আমাকে মিথ্যা কেস দিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আমি প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে জেলে আছি।আমাদের জামিনও দিচ্ছে না আবার বিচার প্রক্রিয়া শেষও করা হচ্ছে না। তাই আমরা গতকাল সকাল ১০ টা থেকে অনশনে বসেছি প্রায় ৬০ জন।” অন্যদিকে অভিযুক্ত বিশ্বজিতের মা বিনা দাস জানান,”আমার ছেলে প্রায় আড়াই বছর ধরে সংশোধনাগারে আছে।দীর্ঘদিন ধরে ওর কোনো জামিন হচ্ছে না। তাই ওরা অনশন করছে বলে শুনেছি। আমি চাই হয় ওদের বিচার হোক অথবা জামিন দেওয়া হোক।” সব মিলিয়ে এক অদ্ভূত ঘটনার সাক্ষী রইলো সিউড়ি সংশোধনাগার।
আরও পড়ুনঃ গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584