নিজস্ব সংবাদদাতা, স্পোর্টস ডেস্কঃ
টি-টোয়েন্টির জৌলুস, গ্ল্যামার সব কিছুকে মুছে দিয়েছে। দিন রাতের টেস্ট ম্যাচ করে টেস্ট ম্যাচে দর্শক টানার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রায় আট ঘন্টা ধরে চলা ওয়ান ডে ম্যাচ। অনেকে বলছেন সেই আকর্ষণও আসতে আসতে কমতে শুরু করেছে। ওয়ান-ডে ম্যাচও মানুষ আর দেখবে না। ফলে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে তার প্রভাব পড়বে সেই কারণেই ওয়ান-ডে বিশ্বকাপকে আরো জনপ্রিয় করতে ভাবনা আইসিসির। তারা আনছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লীগ।
আগামী সপ্তাহে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যেকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ-ই এই সুপার লীগের প্রথম ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই ওয়ান-ডে সুপার লিগের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে কারা কারা খেলার সুযোগ পাবে। এই টুর্নামেন্টে মোট ১৩টি দল খেলবে।
আইসিসির ১২টি স্থায়ী সদস্য দেশ। আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়ে-সহ) এবং নেদারল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। ৩ বছর ধরে চলা এই মেগা টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে ঘরের মাঠে ৪ টি এবং বিদেশের মাটিতে ৪টি মিলিয়ে মোট আটটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। একটি দলের বিরুদ্ধে একটিই সিরিজ খেলা যাবে (হয় হোম না হয় অ্যাওয়ে)। প্রতিটি সিরিজে থাকবে ১০ পয়েন্ট।
আরও পড়ুনঃ ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলুক, মানুষেরও পাশে থাকুক চান ডগলাস
সিরিজ জিতলে জয়ী দলই ১০ পয়েন্ট পেয়ে যাবে। কোনও কারণে ড্র হলে ৫ পয়েন্ট করে দুই দলের মধ্যে ভাগ হবে। এই সুপার কাপের জন্য আলাদা করে কোনও নক-আউট ম্যাচ হবে না।সুপার লিগের শেষে শীর্ষস্থানে থাকা সাতটি দল এবং ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। যদি ভারত প্রথম সাতের মধ্যে থাকে তাহলে অষ্টম স্থানে থাকা দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। শেষ পাঁচটি দলকে অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে শেষ দুটি স্থানের জন্য।
আরও পড়ুনঃ ৭গুন বেশি বিদ্যুৎ বিল! টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ হরভজনের
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও ২০১৯-এর মতোই দশ দলের বিশ্বকাপ হবে। এই মেগা টুর্নামেন্টের ফলে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়ে, নেদারল্যান্ডের মতো দলগুলি উপকৃত হবে। কারণ, এর ফলে আগামী ৩ বছরে অন্তত ২৪টি করে ওয়ান-ডে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল এই দলগুলির.রফলে সারা বছর ক্রিকেট নিয়ে উত্তেজনা থাকবে। একই সঙ্গে ছোটো দেশ গুলো বেশি খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সুযোগ পাবে। প্রায় ফিফার অনুকরণ করতে চাইছে আসিসি ফলে সারা বছর ক্রিকেট নিয়ে উত্তেজনাটা থাকবে। একই সঙ্গে ছোটো দেশগুলো বেশি খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সুযোগ পাবে। প্রায় ফিফার অনুকরণ করতে চাইছে আইসিসি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584