শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ আইসিডিএস কর্মীদের

0
45

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ

ছয়মাস কাজ করে কাজ হারিয়ে সোনামুখী ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ১১ জন আইসিডিএস কর্মীর।

protest | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

১১ জন আইসিডিএস কর্মী নিজেদের কাজ হারিয়ে আজ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে শামিল হলেন। কি কারণে কাজ হারিয়েছে কেনইবা এমনটা হল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

ICDS workers | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ ৬ মাস কাজ করার পর এভাবে কাজ হারিয়ে যাবে ভেবে চোখে জল চলে আসছে তাদের। জানা যায়, ২০১৯ এর অক্টোবরে তারা কাজে যোগদান করেছিল কিন্তু ৬ মাস কাজ করার পর হঠাৎই তাদের হাতে আজ টার্মিনেশন লেটার ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ১১ জন কাজ হারানো আইসিডিএস মহিলা কর্মী ।

আরও পড়ুনঃ চলতি বছরে টালমাটাল অবস্থা “ইয়েস ব্যাঙ্কের”

সালেমা বেগম, শ্রাবণী ভট্টাচার্য মিশ্র, আয়েশা খাতুনরা বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। ২০১৮ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং ওয়েটিং লিস্টে ছিলাম। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমাদের জয়েন্ট করিয়ে ছয়মাস কাজ করানোর পর হঠাৎ গতকাল স্যার আমাদের ডাকলেন এবং আমাদের হাতে আজ এই টারমিনেশন লেটার ধরিয়ে দিলেন।

কি হয়েছে কি কারনে আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে আমরা কিছু জানিনা। তবে আগামী দিনে তারা এই কাজ ফিরে পেতে চান বলে জানান তারা। এখন আগামী দিনে কিভাবে সংসার চলবে বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। এছাড়াও তারা যদি সুইসাইড করে তার জন্য কে দায়ী থাকবে বলেও জানান তারা। আগামী দিনে হাইকোর্ট করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা ।

সোনামুখী সিডিপিও হাসানুর মন্ডল বলেন, এটা যখন নিয়োগ করা হয়েছিল প্রপার নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে নিয়োগ করা হয়েছিল। আবার সেখানেই কমিটিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওনাদের বরখাস্ত করার সেখানেই নেওয়া হয়েছে ।

আমরা শুধু অর্ডার টাকে এক্সিকিউট করলাম। তবে এই ঘটনার পেছনে তার কোনো গোড়ায় গলদ আছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি আমার বিশ্বাস এখানে কোথাও ইনলিগেল কিছু হয়নি যেটা হয়েছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা মহাশয় বলেন, সোনামুখী ও পাত্রসায়ের ব্লকে যে আইসিডিএস প্রজেক্ট রয়েছে সেখানকার সিডিপিও বেশকিছু ক্যান্ডিডেটকে বিশেষ করে সোনামুখীতে ১১ জন এবং পাত্রসায়রে ৯ জন ওয়েটিং লিস্ট থেকে তারা হঠাৎ অক্টোবরে নিয়োগ করে নেয়।

কিছু মানুষ যারা ওয়েটিংয়ে ছিলেন আমার কাছে অভিযোগ করেন এবং পরে আমরা খতিয়ে দেখি যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে অনেক জনকে তারা অবৈধভাবে নিয়োগ করে দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ ভাবে সিডিপিওরা নিজের দায়িত্বে এ কাজ করেছেন আমাদের কমিটির সঙ্গে কোনো রকম পরামর্শ না নিয়ে।

এছাড়াও তিনি বলেন যেটা স্বাভাবিক নিয়ম আছে ওয়েটিং লিস্ট থেকে তখনই নেওয়া হয় যখন কোন ক্যান্ডিডেট এক বছর মধ্যে যদি এই প্রজেক্ট থেকে কাজ ছেড়ে দেয় তখনই ওয়েটিং লিস্ট থেকে নেওয়া হয়।

আমাদের কাছে যেটুকু খবর আছে ১৮ সালে নিয়োগের পর কোন ক্যান্ডিডেট কিন্তু প্রজেক্ট ছাড়েনি অথচ এই প্রজেক্ট থেকে এত জনকে নিয়োগ করে দিল, সুতরাং এই ক্যান্ডিডেট কে ভুল বার্তা তারা পৌঁছে দিল।

যারা পেয়েছে তাদের কোনো রকম কোনো দোষ নেই। সম্পূর্ন দোষ সোনামুখী ও পাত্রসায়রের দুই সিডিপিওর। ঐ সমস্ত ক্যান্ডিডেটদের উপরে তারা প্রতারণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলাম এবং তাদেরই নির্দেশে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আমাদের এই সরকারকে কলুষিত করার মূলে উনাদের এই ধরনের আচরণ যাতে বরদাস্ত না করা হয় আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি অবশ্যই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নেবে ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here