নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রে বিজেপির বিকল্প তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে দেশের সব অবিজেপি, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে চিঠি লিখে আহবান জানান। তিনি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকেও চিঠি লিখে একই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন তৃণমূলকে তাঁরা সমর্থন করতে পারেন তবে শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত হলো রাজ্যে বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদের ২২জন তৃণমূল প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
যদিও এমন প্রস্তাবে ভুরু কুঁচকেছে বামফ্রন্ট ও আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দল আইএসএফের, কারণ রাজ্যে তারা এখন জোট করে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে। তাদের মতে তৃণমূল ও বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। সেখানে হঠাৎ অধীরের এই প্রস্তাবকে মোটেই ভালো ভাবে নিচ্ছে না তারা।
অন্যদিকে অধীর চোধুরী বলেছেন,” মমতা এখন নন্দীগ্রামে হেরে যাইবার ভয়ে আতঙ্কিত। সে কারণেই তিনি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করে লড়াই করার কথা বলেছেন। কংগ্রেসের সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি আপনি আগে মুর্শিদাবাদের ২২জন তৃণমূল প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিন, তারপর কংগ্রেস ভাববে আপনার দলের সাথে জোটের কথা।”
আরও পড়ুনঃ করোনার অজুহাতে মাঝপথে ভোট বন্ধ করলে মানবো না, হুঁশিয়ারি মমতার
তিনি আরো বলেন, “মমতা বুঝে গেছেন তিনি একা বিজেপির সঙ্গে লড়তে পারবেন না। উনি নিজে একসময় আমাদের দল অর্থাৎ কংগ্রেসকে পেছন থেকে ছুরি মেরে আমাদের বহু বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে পৌরসভা ও পঞ্চায়েত গুলোর দখল নিলেন। যেগুলো সবই কংগ্রেসের জেতা আসন ছিল। সেই কাজে মমতা সবচেয়ে বেশি সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁর দলের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এখন শুভেন্দু আর ওনার সাথে নেই, তাই উনি হারের ভয় পাচ্ছেন।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীরের এই প্রস্তাব সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584