শ্যামল রায়,কালনাঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ২ নং ব্লকের চুপিতে এক সময় কনকনে শীতে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা ছিল।এবছর কনকনে শীত পড়লেও পরিযায়ী পাখিদের দেখা নেই।শনিবার চুপির চর পাখিরালয় ঘিরে ছিল শুধু বনভোজনের মহা উৎসব অথচ পাখির দেখা পেল না পর্যটকরা।আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হল পাখি প্রেমীদের।পাখি দেখতে আসা পর্যটকদের অভিযোগ,ছাড়ি গঙ্গায় নৌকো বিহারের জন্য মাঝিরা অত্যাধিক হারে ভাড়া নিচ্ছেন।নৌকায় চাপলে চার জন ব্যক্তির জন্য ৩০০ টাকা ঘন্টা প্রতি।অথচ ছাড়ি গঙ্গায় নৌকা নিয়ে ঘুরলেও একটিও পাখি চোখে পড়েনি।সুদূর দুর্গাপুর থেকে আসা শুভ্রা যশ জানালেন যে তারা নৌকা ভাড়া করে ছাড়ি গঙ্গা ঘুরলেও একটুও দেশি বিদেশি পাখি তারা দেখতে পায় নি। শুধু মাত্র দু একটি সাদা বক ছাড়া আর কিছুই পাখিরালায়ে দেখা যায় না।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে চোরা শিকারিদের জন্য পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে গিয়েছে।এছাড়া আরও অভিযোগ যে, পাখিদের জন্য যে ধরনের খাবারের দরকার এখন ওই চুপির চর এলাকায় খাবার মিলছে না তাই পরিযায়ী পাখিরা আর ওই এলাকায় আসছে না।কিন্তু চোরা শিকারিদের জন্য যে অভিযোগ উঠছে তা কিন্তু মানতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা তারা বারবার বলছেন যে আমরা চোরা কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি কিন্তু পাখিদের দেখা মিলছে না।স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন যে আমরা ছোট থেকে এই এলাকায় বিদেশী পাখিদের দেখতে পেতাম কিন্তু এবছর একদম পাখির কোন লেশমাত্র দেখতে পাচ্ছি না তাই মন খারাপ।
তবে পাখি দেখতে না পেলেও এলাকায় একটা পিকনিক করার মত স্পট তৈরি হয়ে গিয়েছে একথা জানালেন বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা। বড় আম বাগান রয়েছে রয়েছে পিকনিক করার মত জায়গা।তাই অনেকেই পিকনিক করতে এই এলাকায় আসছেন কিন্তু পাখি নেই।অথচ রাজ্যের পর্যটন দফতর থেকে পাখিরালয় দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য গেস্ট হাউস তৈরি করলেও এখন পাখি দেখতে না পেয়ে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।অথচ এই পাখিরালয়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু পাখি কি করে আসবে এবং তাদের থাকার জন্য কোন পরিকল্পনা বা পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা প্রদীপ সাহা জানিয়েছেন যে, আমরা কয়েক বছর আগেও দেখেছি চুপির চরায় প্রচুর বিদেশী পাখিদের আনাগোনা ছিল বর্তমানে পাখি সেরকম চোখেই পড়ে না তাই জানি না সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ করছে কিন্তু সেই টাকা কিভাবে খরচ হচ্ছে আমাদের কাছেও রহস্য থেকে যাচ্ছে।
কালনা মহকুমা শাসক সূত্রে জানা গিয়েছে যে পরিবেশ রক্ষা করতে পাখিদের জন্য যা যা করণীয় সবকিছুই করা হচ্ছে।পাখিদের থাকার পরিবেশ যথেষ্ট ভালো আছে।তবে পাখির সংখ্যা আরও যাতে বাড়ে তার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা রুখতে লেজার স্পিডোস্পট চেকিং
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584