সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
নয়নজলি ভরাট করে নিজের জায়গা দেখিয়ে বেআইনিভাবে ‘পি ডব্লু ডি’-এর ইমারত দিয়ে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ উঠল অর্থলোভী ব্যবসায়ী-সহ শাসকদলের সর্মথকদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার জেরে চাষাবাদ বন্ধ হতে বসেছে সুন্দরবন লাগোয়া মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের চাগদা গ্রামে। সমস্যা বেঁধেছে নিকাশি নিয়ে। অধিকাংশ কৃষিজমির সামনে ‘পি ডব্লু ডি’-র জায়গার উপর অনুমতি ছাড়া চলত বেআইনি কাজ। এর নেপথ্যে শাসক দলের নেতৃত্বে রয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকদা গ্রামের একমাত্র নিকাশি ব্যবস্থা শ্রুতি খাল চাগদা। কিন্তু সমস্যা হল, খালের যে অংশে জল সরবরাহ হয় সেখানেই গড়ে উঠছে ইমরত। খাল সংস্করণ হলেও ইমারত আটকে দিচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে অজানা বিস্ফোরনে আহত মহিলা
স্বল্প বৃষ্টিতে জল পাশ হওয়ার জায়গা যেমন থাকছে না, পাশাপাশি অনেক দূর থেকে সেচ দিয়ে বোরো চাষ করতে হচ্ছে চাষিদের।
মগরাহাট কুলদিয়ার বাসিন্দা সাকিল সেকের অভিযোগ, রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত নিকাশির উপর নির্মাণ করছে। অভিযোগ, রায়ত জায়গা কিনেছে বলে দাবি করছে সাকিল সেক। অথচ ১৯৫৬ সালে জায়গা দখলে রাখে চাগদা এলাকার বাসিন্দা গৌর ধারা।
১৯৬২ সালের রেকর্ড না থাকার কারণে ‘পি ডব্লু ডি’ দখলে রাখে জায়গা। অথচ সেই ‘পি ডব্লু ডি’ জায়গা কেনাবেচা হচ্ছে। চলছে বেআইনি নির্মাণ কাজ। হাইটেনশান তারের নিচ দিয়ে নিকাশি বন্ধ করে চলছে এই কারবার। সাধারণ মানুষের দাবি ‘পি ডব্লু ডি’ জায়গা কী করে পঞ্চায়েত অনুমতি দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রাজাভাত চা বাগানে চিতা বাঘের হামলায় আহত মহিলা শ্রমিক
বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতায় নেমেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেপথ্যে রয়েছে তার ভাই মুজিবর রহমান মোল্লা। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান রজৎ শুভ্র বিশ্বাস। প্রশাসনকে আড়াল করে পঞ্চায়েতের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই কাজ চলছে বলে দাবি বিজেপির।
একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও অধিকাংশ জায়গা আটকে কাজ করছে বলে দাবি অভিযোগকারীদের। চাকদা গ্রামসভার সদস্য মুরারী মোহন, তাকে আড়াল করে অনুমতি দিয়ে কাজ করছে প্রধান। চাকদা এলাকাবাসী ইলিয়াস খানের অভিযোগ নয়নজলি ভরাট করে ইমারত দিয়ে নির্মান কাজ চলছে দিনরাত। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বসানো হয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার অভিযুক্ত
জানা গেছে, গ্রামবাসীরা মাস পিটিশান করে বন্ধ করবে।নিকাশি নিয়ে সমস্যা বাঁধছে দিনের পর দিন। অন্যদিকে হাইটেনশান তারের নিচে গড়ে উঠছে দোকানপাট। বেশ কয়েকদিন অগে বানেশ্বরপুরে ঘটে যাওয়া হাইটেনশান তারে তিন জনের মৃত্যুর দাগ না মুছতেই চলছে এই কারবার।
যদিও বিষয়টি নিয়ে সমাধানের আশ্বাস মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তরফে রাজ্যর সংখ্যা লঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার।
অবশেষে পঞ্চায়েতের সহযোগিতা না পেয়ে উস্থি থানা বিডিও এসডিও ডায়মন্ড হারবার দারস্থ হন গ্রামবাসীরা। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কিছুটা এগিয়ে এলে আশার আলো দেখছেন চাগদা গ্রামবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584