রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর প্রথম থেকেই ছিল কংগ্রেসের দখলে।এদিন গোটা ভারতবর্ষে কংগ্রেসের অবস্থা যে শোচনীয় সেটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করলেও কার্যত পশ্চিমবঙ্গে কিছুটা হলেও ঘুরবে কংগ্রেস এমনটা আশা ছিল।তবে বামেদের মতো না হলেও শক্তি বৃদ্ধি হলো না কংগ্রেসের।তবে অধীর চৌধুরী বহরমপুর লোকসভা দখলে রাখতে সমর্থ হন।কার্যত এ বিষয়ে সরাসরি তিনি চ্যালেঞ্জ দেন শাসক দলকে। ‘যদিও ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
নবান্নের আদেশে প্রশাসন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে ছিন্নভিন্ন করে।এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরা দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করেছিল।২০১৬ থেকে ১৭-১৮ পর্যন্ত আক্রমণ চললো শাসক দলের।২০১৮ র ডিসেম্বরে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।এরপর ২০১৯ এ নতুন করে কংগ্রেসকে দল তৈরি করতে হলো।কোন সংগঠন পরিকাঠামো তৈরি করতে পারলাম না।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে জয়ের পর অধীর বরণ
কিন্তু নির্বাচন কমিশন যাদের দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করিয়েছিল তাদেরকে রেখে দিল,হার্মাদ বাহিনি থাকলো,নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র বাহিনী দিয়ে ভোট করলেও হয়তো বুথ দখল হয়নি কিন্তু বুথে আমরা এজেন্ট দিতে পারলাম না।এর জন্য তো মুর্শিদাবাদ জুড়ে ছাপ্পা হলো।’ এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “২৬৮ বুথে কোন এজেন্ট ছিল না কংগ্রেসের।বহরমপুর লোকসভা ভোটের দিন এজেন্টদের উপর হামলা হয়েছে। আমাকে নিজে রাস্তায় নামতে হয়েছে।এরপরেও বহরমপুর লোকসভা ধরে রাখতে পেরেছি তা এখানকার মানুষের আশীর্বাদ দোয়ার কারনে। ভোট দেখলেই বুঝতে পারবেন কোথায় ভোট লুট হয়েছে।
রেজিনগর বিধানসভা কোথাও আমরা ভোট পায়নি এবং জঙ্গিপুর লোকসভা ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা আমাদের দখলে বাইরে চলে গেছে।জঙ্গিপুর লোকসভা হারার পেছনে হয়তো প্রণব মুখার্জি মোহন ভাগবত এর সঙ্গে দেখা করার কারণ হতে পারে।আমার মনে হয় বিজেপি সরকারকে আটকাতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে প্রচার চালিয়েছিল সেই কারণে হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর লোকসভা দখলে থাকলো।” এমনি কিছু বিষয়কে সামনে তুলে ধরেন অধীর বাবু।তবে কেন্দ্রে মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তন নিয়ে তেমন কিছু বললেন না অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584