পিয়া গুপ্তা,কালিয়াগঞ্জঃ
রাত পোহালেই মকরসংক্রান্তি।চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী পিঠেপুলি কিংবা নাড়ু মুড়ি বানাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বাড়ির গৃহিণীরা কিন্তু ব্যস্ততার জীবনে এখন পিঠেপুলি কিংবা নাড়ু মুড়ি তৈরি আয়োজন ক্রমেই ভাটা পরে গেছে।কারন এখন রেডিমেট দোকান গুলোতে ই পাওয়া যায় রকমারি পিঠেপুলি ও নাড়ু মুড়ি।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন দোকানে এখন মালপোয়া,পাটিসাপটা,দুধেরপুলি,এছাড়া চীরের নাড়ু,নারকেলের নাড়ু,তিলের নাড়ু পাওয়া যাচ্ছে শুধু তাই নয় কিছু মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী আবার নলেন গুড়ের পায়েসও চুটিয়ে বিক্রি করছেন।সবক’টি জিনিসের দামই সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকছে।
যেমন কালিয়াগঞ্জ এর নাটমন্দির ময়দানে ভাকার দোকান গুলোতে এখন মালপোয়া, পাটিসাপটা,দুধের পুলি পাওয়া যাচ্ছে প্রতি পিস ৫ টাকায়।নলেন গুড়ের পায়েস অবশ্য দইয়ের মতোই মিষ্টির দোকান গুলোতে বাকেটে বিক্রি করা হচ্ছে।মকরসংক্রান্তির দিন কমবেশি প্রায় বাড়িতেই পিঠেপুলি কিংবা নাড়ু ,মোয়া আয়োজন করা হয়ে থাকে।বর্তমানে অতি ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ঝঞ্ঝাটের জায়গায় যেতে চান না। অনেকে আবার পূর্বপুরুষদের স্মৃতিগুলি মুছে ফেলতে চান না।কষ্ট করে হলেও ছেলেপুলের জন্য এক দুই পিস পিঠেপুলি ও নাড়ু মোয়া তৈরি করেন কিন্তু বাকিটা কমবেশি সকলেই বাজারজাত পিঠেপুলি বা নাড়ুর ওপর নির্ভর করেন।
তাই বাজারে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু মোয়া দেদার বিক্রি হচ্ছে।এর মধ্যে তিলের নাড়ু,চিড়ের নাড়ু, খাজা প্যাকেট করে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটের দাম ৩০ টাকা।একেকটি প্যাকেটে ১০টি করে নাড়ু মোয়া পাওয়া যাচ্ছে। মুখরোচক এই নাড়ু এবং পিঠেপুলি খাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে কমবেশি সকলেই অপেক্ষা করে থাকেন মকরসংক্রান্তি দিনটার জন্য।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলমহল মেতেছে নিজস্ব মকর পরবে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584