তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষীনিবাস কুলিক পাখিরালয়ে আসা পরিযায়ী পাখিদের চূড়ান্ত গণনার শেষে আভাস পাওয়া যাচ্ছে গতবারের তুলনায় এবার তা বেড়ে লক্ষাধিক সংখ্যার ধারে কাছে পৌঁছাবে।
শনিবার বন দফতরের রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দিপর্ন দত্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন গত একমাস ধরেই কুলিক পক্ষীনিবাসের অতিথি পাখিদের গণনার কাজ চলে আসছে।রবিবার তার শেষ এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ শেষ হবে।দিপর্ন বাবু বলেন গতবার ওপেনবিল,শামুকখোল,ইগ্রেট,নাইট হেরন সব মিলে ৯৭হাজার অতিথি পাখির দল আমাদের কুলিকে এসেছিল।পাখীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি ভাবেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।দীপর্ন বাবু বলেন বিদেশী অতিথি পাখীর দল সাধারণত জুন মাসের মধ্যেই রায়গঞ্জের কুলীক পাখিরালয়ে এসে পৌঁছায়।এসে গাছের মাথায় নিজেরা ঘর বেঁধে ডিম পাড়ে।আবার ডিসেম্বর মাসের দিকেই পক্ষী ছানারা একটু বড় হয়ে উড়তে শিখলেই তাদের নিয়ে আবার তারা স্বদেশে ফিরে যায়।কিছুদিন আগেও কুলিক পাখিরালয়ের চতুর্দিকের সীমানায় ছিলনা কোন ঘেরা বেড়া।ফলে বাইরের অনেকেই যত্রতত্র ঢুকে পড়তো।এখন চতুর্দিকে পাঁচিল দেবার ফলে বাইরের কোন মানুষ যেখান সেখান দিয়ে যেমন ঢুকতে পারছেনা,তেমনিভাবে অতিথি পাখিদের এখন নিরাপত্তা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
বনাধিকারীক দীপর্ন বাবু বলেন সাধারণ মানুষের কাছে কুলিক পাখিরালয়ের আকর্ষণ বাড়াতে সংস্কারের কাজ চলছে।চলছে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলার কাজ।পূজার আগেই আবার সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুনঃ করম উৎসবের প্রস্তুতি জোরকদমে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584