সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত পাঁচ মাসে তিন হাজারেরও বেশি যক্ষ্মা আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে এই পরিসংখ্যান মিলেছে।
চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সাথে-সাথে সচেতনতার বিষয়ে প্রশাসন উঠে পড়ে লাগছে বলে জানা যায়। যক্ষ্মা রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এরআগে যাঁরা যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করাতে আসতেন তাঁদের নাম হাসপাতালে নথিভূক্ত করা হত না। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর থেকে প্রতিমাসে সার্ভে করা হচ্ছে ওষুধের দোকান এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও।যক্ষ্মা রোগের বিষয়ে পৃথক রেজিস্টার তৈরীর জন্য বলা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য কার্যালয়ের ডাক্তার অরিন্দম দে বলেন, যক্ষ্মা চিকিৎসা করাতে এলে হয়রানির শিকার হতে হতো রোগীকে।ছমাস ধরে একই ওষুধ প্রয়োগ করতে হতো। এর ফলে রোগীর ওষুধ ঠিকমত প্রয়োগ হচ্ছে কিনা তা জানা যেত না। কিন্তু বর্তমানে সিবিনেট মেশিন আসার ফলে রোগীকে ওষুধ দেওয়ার পর পরীক্ষা করলে জানা যাচ্ছে ওষুধের ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা। প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আশা ও এনএম কর্মীদের দিয়ে যক্ষ্মা রোগীদের খবর নেওয়া এবং রোগীরা কেমন আছে সেসব জানা হচ্ছে। উল্লেখ্য যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে এবং সম্পূর্ণ যক্ষ্মা নিরাময় এর দিকে হাঁটছে প্রশাসন। যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা করাতে গেলে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে রেজিস্টার এর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হবে। কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ওষুধের দোকান যদি বেআইনিভাবে গোপনে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ দেয় এবং তার বিনিময়ে টাকা নেয় তবে সেই সব দোকানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ৬
প্রতি মাসে বিভিন্ন দোকান এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে রেজিস্টার পরীক্ষা করবেন প্রতিনিধি দল।তাতেই বোঝা যাবে যক্ষ্মারোগে নিয়ন্ত্রণে আসছে কিনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584