নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট লাভ জিহাদ ল’ অনুষ্ঠানের অনুমতি মিলল না যন্তর মন্তরে। দিল্লি পুলিশের দাবি ‘এই ধরণের দম্পতি’ দের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে না, আদেশ রয়েছে ওপরতলার।
উত্তর প্রদেশের লাভ-জিহাদ আইনের বিরুদ্ধে রবিবার দুপুরে দিল্লিতে যন্তরমন্তরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যার নাম ছিল ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট লাভ জিহাদ ল’। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দম্পতিদের আহ্বান জানানো হয়েছিল তাদের অভিজ্ঞতা সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ সংগঠকদের এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিলোনা।
সাম্প্রতিক কালে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দবন্ধটি আরএসএস-বিজেপি পরিচালিত নানা হিন্দুত্ববাদী দলগুলো ব্যাপক প্রচারে এনেছে। যার মাধ্যমে নাকি হিন্দু ঘরের মেয়েদের ভুল বুঝিয়ে বা জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য বিয়ে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার তথাকথিত ‘লাভ-জিহাদ’ আটকাতে নতুন আইন প্রণয়নও করেছে কিন্তু এই আইন কতটা সাংবিধানিক প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ ২০২০-তে নারী নির্যাতনের রেকর্ড অভিযোগ! বেশিরভাগই গার্হস্থ্য হিংসা, শীর্ষে যোগী রাজ্য
ওই অনুষ্ঠানটির সংগঠক তেহসিন পুনাওয়ালা, আকৃতি ভাটিয়া ও মনি চন্দর জানিয়েছেন,তাঁরা অনুষ্ঠানটি আগামী ১০ ই জানুয়ারি সংগঠিত করবেন। তাঁরা জানান, “একজন পুলিশ অফিসার এসে আমাদের বলেন যে ‘এই ধরণের’ দম্পতিকে নিয়ে এরকম অনুষ্ঠান করা যাবে না- এটা উপরতলার আদেশ।
আমাদের প্রশ্ন, ‘এই ধরণের দম্পতি’ কথার অর্থ কী? আমরা তো গানের মাধ্যমে প্রেম আর যৌথ জীবনকে উদযাপন করার উদ্দেশ্যে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলাম। দিল্লি পুলিশ দেশের সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছে না।“
আরও পড়ুনঃ সমাধান অধরা, ফের কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক ৮-এ
এরপরে ওই সংগঠকদের কাছে দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে একটি চিঠি পৌঁছায় যেখানে দিল্লি পুলিশ দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির গাইডলাইন উল্লেখ করে জানায় যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দিতে হবে।
পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর জন্য যে গাইডলাইন রয়েছে, সেখানে সমস্ত রকম সামাজিক মেলামেশা, খেলাধুলা, পড়াশোনা সংক্রান্ত এবং অন্য যেকোনো জমায়েত বন্ধ করার কথা বলা আছে সেই কারণে এই অনুষ্ঠানটিরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সংগঠকরা জানিয়েছেন, পরের রবিবারও যদি এই অনুষ্ঠানটির অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা সদলবলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন, তারপর সংসদ ভবনের সামনে আর তারপরে সুপ্রিম কোর্টের সামনেও প্রতিবাদে শামিল হবেন। ওরা কতদিন আটকে রাখবে আমাদের?- প্রশ্ন সংগঠকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584