প্রীতম সরকার, উত্তর দিনাজপুরঃ
দেশভাগের দুই বাংলার মানুষ এখন বন্দি বেড়াজালে। কিন্তু স্বজনদের সান্নিধ্যে মিলিত হতেন বছরের একটি দিনই। আত্মীয়তার সুতোয় বাঁধা ভারত-বাংলাদেশের মানুষজন মিলে যান একে অপরের সঙ্গে। যদিও মাঝে কাঁটা তারের বেড়া থাকে। তবুও বছরের বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটির দিকে তাকিয়ে থাকেন ওপাড় বাংলায় আত্মীয় ছেড়ে ছিন্নমূল হয়ে আসা মানুষজনেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের নরগাঁও, কোকরাদহ বা করনদিঘির কাদেরগঞ্জ।
এই বিস্তির্ণ এলাকার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন বছরের এই দিনটির জন্য। কারন, এই একটি মাত্র দিনে পাঁচ ঘন্টার জন্য দুই দেশের সীমান্তের পাহারায় থাকা বিএসএফ বা বিজিবি সন্মিলিতভাবে সীমান্তের আইন শিথিল করে। দু’দেশের মানুষকে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যেতে অনুমতি দেন। কিন্তু এবছর সব উলটে গিয়েছে। করোনার জেরে সীমান্তে নজরদারি কড়া হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ এপ্রিল কোন মিলনমেলা করা যাবেনা।
আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ রুখতে এবার থানাতে প্রবেশের আগে কর্মীদের থার্মাল স্ক্রিনিং
প্রতি বছর ১লা বৈশাখের দিন সকাল থেকেই দুপারের মানুষ জমা হতে শুরু করতেন। বেলা দশ’টা বাজলেই অনুমতি মিলতো বেড়ার কাছে যাওয়ার। এপার থেকে চিৎকার করে যে যাঁর নিকট আত্মীয়দের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে থাকেন। ওপাড় থেকে তার জবাবও আসে। লক্ষ মানুষের ভিড়ে সেই আওয়াজ কানে আসতো, কিছুটা বা হারিয়ে যেত। কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়েই ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেওয়া নেওয়া চলতো নববর্ষের উপহার। কিন্তু এবছর জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বন্ধ থাকছে সীমান্তের এই মিলনমেলা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584