মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সরতে না সরতেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সতর্কবার্তা রয়েছে। তবে ভারতে আগের থেকে অনেকটা কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। তাই আগামী মাস থেকে ভারত-বাংলাদেশ বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ‘এয়ার বাবল সিস্টেমের’ মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
২০২০-র মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। অতিমারী পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার পর গত বছর অক্টোবরে আবারও এয়ার বাবল সিস্টেমের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করা হয়।
আবারও চলতি বছর এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের বিমান পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়েন দুই দেশের মানুষ। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সরে যেতেই ফের এই পরিষেবা সচল করতে ভারতের কাছে প্রস্তাব পাঠায় বাংলাদেশ। প্রস্তাবে রাজি হয় ভারতও।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে খুলছে স্কুল-কলেজ-কোচিং, সেপ্টেম্বর থেকে শুরু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন
বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যে দু’দেশের মধ্যে সপ্তাহে ২১টি করে বিমান চালাতে হবে। শুধুমাত্র ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ের মধ্যেই ৯টি বিমান চালানোর কথা বলা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লির মধ্যে দু’টি বিমানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হরিয়ানায় কৃষকদের বিক্ষোভে লাঠি চালানোর অভিযোগ, প্রতিবাদে টুইট রাহুল-অমরেন্দ্রর
জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরেই শুরু হচ্ছে ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মধ্যে বিমান পরিষেবা। ভারতের যে কোনও বিমানবন্দরে অবতরণের পরেই বাংলাদেশ থেকে আসা সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সেখানে রিপোর্ট পজিটিভ এলে সঙ্গে সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে চলে যেতে হবে বাংলাদেশী যাত্রীকে। আর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তিনি তাঁর গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584